
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার চর-যমুনা নদীর চরে বসবাস কারী ভূমিহীনদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের সৃষ্ট দন্দ এবং ভূল বোঝাবুঝির অবসানের লক্ষে ভূমিহীনদের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টার সময় উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের নতুন হাট বাজার চত্তরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় কালিগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ভূমিহীন নেতা মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামলীগের সহ- সভাপতি সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল, থানা অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ইবাদুল ইসলাম, কুশুলিয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সুমন, ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি সজ্বল মুর্খাজী, মথুরেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল, ভূমিহীন নেতা আতিয়ার রহমান, মহব্বত আলী, কাজী রফিকুল ইসলাম, ফতেমা খাতুন প্রমুখ। এছাড়াও সূধী, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী তার বক্তব্যে বলেন চর-যমুনা নদী খনন করলে দু’পারের আশ্রয়হীন বসবাসকারী ভূমিহীনরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সেজন্য আমি আগে থেকে গৃহহীনদের ঘরের ব্যবস্থা করার জন্য আগাম প্রদক্ষেপ শুরু করেছি। সেজন্য আমাকে অনেক গ্রহহীনদের নিকট থেকে ছবি, আইডি কার্ড নিতে হয়েছে শুধু মাত্র তালিকা তৈরির জন্য। বিষয়টি একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতন ভূমিহীনদের মধ্যে অপ্রচার চালিয়ে বিবেধ সৃষ্টি করেছে। কোন ভূমিহীনকে পুনঃবাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা হবে না। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল তার বক্তব্যে বলেন প্রথমে আমরা যাতে ভূমিহীন না হই সেজন্য পরিবার ছোট করতে হবে এবং সরকারি শর্ত অনুযায়ী নিজের এক খন্ড জমি কিনে তার উপর সরকারি ঘর নিমাণ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের নিকট সুদ মুক্ত এবং কম সুদের ২০ কোটি টাকা পড়ে আছে । আপনারা সেই টাকা ঋণ নিয়ে এক খন্ড জমি কিনে সরকারি টাকায় একটি বাড়ী বরাদ্ধ নিতে পারেন। সেজন্য সবাই সহযোগিতা কামনা করে বলেন কাউকে ঘরের জন্য টাকা দিবেন না। যে টাকা দিবে এবং যে টাকা নিবে উভয়কে শাস্তির আওতায় আনা হবে। থানা অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন তার বক্তব্যে বলে পুনঃবাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তবে সেজন্য আপনারা সমাজ থেকে বাল্য- বিবাহ , মাদক, চুরি, ছিনতাই দূর করে প্রশাসনকে সহযোগিতার আহবান জানান। কোন গুজবে কান না দিয়ে সরাসরি বিষয়টি উপজেলা এবং থানা প্রশাসনকে সাথে সাথে জানাবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষের জন্য অন্ন, বাসস্থানের জন্য ব্যবস্থা করে চলেছেন। আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়ালে প্রধানমন্ত্রীও আপনাদের প্রতি সদয় হয়ে প্রত্যেককে গৃহ-নিমার্ণ করে দিবেন। এছাড়াও উপস্থিত বক্তারা বলেন প্রথমে ভূমিহীনদের পুনঃবাসনের ব্যবস্থা করে তার পরে তাদেরকে যমুনার চর হতে উচ্ছেদ না করলে তাদের আন্দোলনের সাথে সবাই একাত্ব ঘোষনা করেন।