হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার দঃ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রাম জুড়ে চলেছে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসব চললেও এ যেন দেখার কেউ নাই। যে কারনে বেড়ে চলেছে এলকায় ভূমি ধসের আশাঙ্কা। এলকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা আনুমানিক ২টার সময় সরেজমিনে বিষয়টি দেখতে গেলে সোনাতলা গ্রামের হাবিব, অসিত, গোবিন্দ, গফুর সহ একাধিক ব্যাক্তি সাতনদীকে জানান ব্যবসায়িক মুনাফার জন্য ড্রেজার ভাড়া করে এনে দিনের পর দিন রাত ভর বালি তুলে এলকায় ভূমি ধসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সোনাতলা গ্রামের আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ ঢালীর পুত্র মিজানুর রহমান ও তার ভাই কামরুল ঢালী তাদের পুকুরে ৬/৭ জন শ্রমিক দিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে ¯ু‘প করছে। প্রথমে সাংবাদিক ক্যামেরা দেখতে পেয়ে সবাই দোড়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে ভূমি মালিক মিজান ও কামরুল এসে ম্যানেজ করার জন্য স্থানীয় মেম্বর আব্দুল খালেককে ফোন ধরিয়ে দেয়। মেম্বর কে দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে না পেরে উল্ট এখানে কে সাংবাদিকদের পাঠিয়েছে কৈফিয়াৎ তলব করে হুমকি দিতে থাকে এবং বলে আমরা গোড়া গুছিয়ে এসেছি আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। এর ৫০০ গজ দূরে আবুল চৌকিদারের বাড়ীর পাশে টুলুর পুকুরে একদল শ্রমিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যেয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কাজটি কে করাচ্ছে। সকলে মুখে যেন কুলুপ এটে বসে আছে কেউ মুখ খুলতে চাইলো না। অগত্য তারা ক্যামেরা থেকে সটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা জানান দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামের বক্কর নামে এক ব্যাক্তি উত্তোলন করাচ্ছে। সেখান থেকে উত্তর পূর্ব সোনাতলা গ্রামের চিত্র জগতের প্রয়াত রানী সরকারের বাড়ীর পাশের নুরুল আলমের জমি হতে একদল শ্রমিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। সেখানে গেলে তারা ঈদগাহ এবং মসজিদের জায়গা ভরাটের কথা বললেও পাশে এজনের জমির উপরে বালু বিক্রির স্তুুপ দেখা যায়। এ ভাবে চলছে। সোনাতলা গ্রাম জুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। গ্রামে গ্রামে এই ভাবে বালু উত্তোলন করে ফেললে সেখানে ভূমি ধসের সম্ভবনা শতভাগ। অর্থ্যাৎ সেখানকার কৃষি জমি হুমকির মুখে। বিষয়টি কালিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের নজরে আনা হলে তিনি বলেন যেহেতু আমি নতুন যোগদান করেছি সেহেতু অনেক কিছুই আমার অজানা। আমি বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ নেব বলে জানান।