হাফিজুর রহমান /হাবিবুল্লাহ বাহার কালিগঞ্জঃ- ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হতদরিদ্রদের ১০ টাকা করে কেজি দরের কাডধারীদের কার্ড ডিজিটাল এর নামে ১১০ টাকা, ৩০ কেজি চাউল তিনশত টাকার পরিবর্তে ৩১০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে। ডিলার শহিদুলের চাউল বিতরণ কেন্দ্রে কার্ডধারীরা সাদা কাগজে সই করে টাকা নিতে অস্বীকার করায় চাউল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় কার্ড ধারী ভুক্তভোগীরা। তারা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও পরে ডিলার শহিদুলের চাউল বিতরণ কেন্দ্র বিক্ষোভ ও হামলা চালায়। খবর পেয়ে থানা হতে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রতনপুর ইউনিয়নের ৩ জন ডিলার সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, থানা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফাতেমা খাতুন ওরফে রিক্তা, এবং মনিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে রতনপুর ইউনিয়নের ১৮১৭ জন কার্ডধারি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের নিকট হতে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউলের মূল্য তিনশত টাকা। আর বস্তা বাবদ নেওয়া হয় ১০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করে আসছে। এছাড়া কার্ড ডিজিটাল করার নামে কার্ডধারী এর নিকট থেকে ১১০ টাকা করে আদায় করে হাতে নেওয়ার সময় সাদা কাগজে সই না করলে কারীদের চাউল না দিয়ে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী সুশীলা কল্যাণী মন্ডল, কালিকাপুর গ্রামের জাহানারা খাতুন, টঙ্গী পুর গ্রামের স্বপন বর্মন, কৃষ্ণপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সুপ্রকাশ সহ শত শত কার্ড ধারীরা দুর্নীতিবাজ ডিলার শহিদুল ইসলামের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কার্ডধারীরা গত ৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসেনি। এছাড়াও রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য গণ ৩ জন ডিলারের বিরুদ্ধে রেজুলেশন করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় সরোজমিনে কদমতলা বাজারে গেলে ভুক্তভোগী কার্ড ধারী ব্যক্তিগণ চেয়ারম্যান অফিস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়। পরে শহিদুলের কদমতলা বাজারে বিতরণ কেন্দ্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে হামলা চালায়। এ ব্যাপারে ডিলার শহিদুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পত্রিকায় না ছাপাতে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখান। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সেই আতঙ্কে বর্তমান চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে। আমাকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি কার্ড ডিজিটাল করার নামে এবং অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করিনি। রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক খোকন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী এর নাম ভাঙিয়ে অত্র ইউনিয়ন এ নানান অপকর্ম চলে গেলেও দেখার কেউ নাই। এ বিষয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে শহিদুল কে নিষেধ করা হয়েছিল। এর পরও যদি সে অপকর্ম চালিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি কলারোয়া আছি নির্বাচনী ডিউটিতে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।