হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ থেকে: স্কুল ভবনে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের মাসের পর মাস প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় যৌন নির্যাতন এবং মারপিটের ঘটনায় শহিদুল ইমরান নামে এক লম্পট শিক্ষক কে গণধোলাই দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বয়কট অপসারণের দাবি জানিয়েছে ছাত্রী অভিভাবকরা। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গান্ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত বুধবার (২৫মে) বেলা ১০টার সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সহায়তাকারী অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজমল হোসেন অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করলে এ যাত্রায় রেহাই পায়। পরে বিষয়টি অভিভাবকরা মোবাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে জানালে তদন্তের আশ্বাস এ পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার (২৭ মে)বেলা সাড়ে ১১ টার সময় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান স্কুলে গেলে সেখানে সাংবাদিক দেখে সহায়তাকারী প্রধান শিক্ষক তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়। ওই সময় শিক্ষা কর্মকর্তা এর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তদন্তের সময় এলাকার অভিভাবক রেহেনা খাতুন, সাবিনা বেগম, পারভিন, মাহফুজা খানম, রোজিনা আক্তার, আছিয়া বেগম, সালমা, রবিউল ইসলাম, লাভলু, মেহেদী সহ একাধিক অভিভাবক গণ সাংবাদিকদের জানান, গান্ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উপজেলার চকপরানপুর গ্রামের শওকত এর পুত্র শহিদুল ইমরান পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ ও স্কুলের গোপন কক্ষে পড়া দেখার অজুহাতে মাসের পর মাস যৌন হয়রানি নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজমাল হোসেনকে জানিওেয় কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় তারা বাড়িতে যেয়ে পিতা-মাতাকে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে একত্রিত হয়ে স্কুলে যেয়ে ঐ শিক্ষককে গণধোলাই দিলে প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় পালিয়ে রক্ষা পায়। পরে আমরা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল এর মাধ্যমে জানালে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইমরানের সঙ্গে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান পড়া না পারায় এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজমল হোসেন জানান শিক্ষক শহিদুল ইমরান এর উপর হামলার পর আমি ঘটনা জানতে পারি। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান ঘটনার তদন্তে এসেছি সত্যতা পেলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদন পেশ করব। উপজেলা প্রশাসনের এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্বলতা কারনে প্রতিনিয়ত কোনো-না-কোনো বিদ্যাল য়ের ছাত্রী হয়রানি, ছাত্র বলাৎকার মতন বিকৃত ঘটনা ঘটে চলেছে। অনেক ঘটনার সত্যতা মেলায় কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে উপজেলাবাসী।