কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হত দরিদ্রদের জন্য শেয়ার কার্ডের ১০ টাকা কেজি দরের চাউল আতœসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার মধুরেশপুর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামের মৃত নওশের আলী কারিগরের পুত্র দিন মুজুর আব্দুল করিম কারিগর জেলা প্রশাসক বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, হতদরিদ্র দিন মুজুর আব্দুল করিমের নামে ৫৫৬নং ক্রমিকে ভুঁয়া ০১৮৫৫২০৯১৭০ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাউলের তালিকা তৈরী করে। বিষয়টি হতদরিদ্র করিমকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন অত্র ইউনিয়নের ডিলার গৌতম লস্কারের নিকট হতে চাউল তুলে দীর্ঘদিন ধরে আতœসাৎ করে আসলেও হতভাগ্য করিমের ভাগ্যে জোটেনি এক ছটাক চাউল। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী করিম এবং তার পুত্র সুমন প্রথমে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সালামের নিকট গেলে এ বিষয়ে সে কিছু জানেনা বলে জানায়। পরে চেয়ারম্যান মিজানের নিকট গেলে তাদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে রবিবার জেল প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এভাবে চেয়ারম্যান মিজান শত শত ভুঁয়া কার্ড তৈরী করে তার ভাই ডিলার কামরুজ্জামানের মাধ্যমে প্রতি কোটায় দু’এক টন করে চাউল বাজারে বিক্রি করে আতœসাৎ করে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদককে জানায়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে কেউ আসেনি তবে হত দরিদ্র করিমের নাম তালিকায় থাকার পরেও তাকে কার্ড ও চাউল না দেয়ার ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, তদন্তে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাফুজুল আলম বলেন, আমরা শুধু তালিকা অনুযায়ী চাউলের ডিও দিয়ে থাকি। বাকি কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বরদের। অত্র ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক কিছুই জানেন না বলে জানান। এলাকার বসন্তপুর, শীলতপুর এবং ছনকা গ্রামের হতদরিদ্র দবীর উদ্দীন, আব্দুল মালেক, সালাম, তোফায়েল কারিগর, শহিদুল কারিগর জানান, যাদের ১তলা-২তলা বাড়ি আছে তাদের পরিবারে একাধিক ব্যক্তির নামে কার্ড আছে। অথচ যারা হতদরিদ্র ভ্যান চালক দিন মুজুর তাদের ভাগ্যে কার্ড জোটেনি। ৮০ বছরের বৃদ্ধা আতরজান বিবি বলেন, শেখের বেটি আমাদের চাউল খাওয়ার জন্য কি চেয়ারম্যান বানাইছে ?