হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ থেকে: সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক প্রকল্পের কাজ না করে কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করানো, রাস্তার ইট বিক্রয়, গৃহহীনদের নির্মান করে দেওয়ার নাম করে পরিবার প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা, বয়স্ক বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে ৫-৬ হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ৩০/৩২টি বড় বড় গাছ বিক্রয় সহ নানাবিধ দূর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেছে। আর এই আতœসাতের ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকারের বিরুদ্ধে ইউনিয়নবাসী প্রতিকার চেয়ে গত ১৬ জুন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে শেষ সপ্তাহের দিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রশান্তের বিরুদ্ধে নানাবিধ দূর্নীতির অভিযোগ তুলে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে আবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আজও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তদন্ত না হওয়ায় ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে দারুন ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সরকারী প্রকল্পের টাকা হরিলুট করে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করে খাবে তার প্রতিকার হবে না বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছে না ইউনিয়ন বাসী। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন বাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচীর মতন সমাবেশ করবে বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। তবে এ ব্যাপারে দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকারের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার ইউনিয়নে সরকারী প্রকল্পের কোন কাজে অনিয়ম বা দূর্নীতি হয়নি সব কিছু ইউনিয়ন পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। দূণীতির বিষয়ে বলেন সামনে নির্বাচন তাই আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ একটি কূচক্রী মহল গোবিন্দ মন্ডলের নেতৃত্বে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর যে অভিযোগ করেছেন সে গুলো হলো সোনাতলা গ্রামের রমেশের বাড়ির সামনে হতে বেড়াখালী পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃ মিঃ রাস্তার নবযাত্রা প্রকল্পের ৫লক্ষ টাকার কাজ চেয়ারম্যান কর্মসৃজন প্রকল্পের ৯টি ওয়ার্ডের লোক দিয়ে কাজ করিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছে। রাস্তার পাশের খাল হতে কর্মসৃজন প্রকল্পের নারী পুরুষ একত্রিত করে মাটি দিয়ে দায়সারা ভাবে রাস্তা সংস্কার করা ছাড়া কিছু হয়নি। তবে এ ব্যাপারে কাজ চলমান অবস্থায় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করানোর সত্যতা পাওয়া যায়। সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মাদ মাষ্টারের বাড়ি হতে সোনাতলা ম্রাদাসা পর্যন্ত ১ কিঃমিঃ রাস্তার ইট তুলে কার্পেটিং প্রকল্পের সমুদয় ইট বাহিরে বিক্রি করেছে। ইউনিয়নে গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার নাম করে তালিকা তৈরীর সময় পরিবার প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা না দিলে তাদের গৃহ নির্মান তালিকায় না আসেনি। একই ভাবে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য ব্যক্তির নিকট হতে ৫-৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তার পাশে বড় বড় ৩০-৩২টি শিশু গাছ বিক্রি করে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেছে। তবে এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার বলেন ইউনিয়ন পরিষদের সভায় রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে গাছ কাটা হয়েছে।