হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনকে ঘুষের টাকা না দেওযায় শিশুদের ভি,জি,ডি কার্ডের চাউল না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে মানবন্ধন ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর ভুক্তভোগীরা এক অভিযোগ দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্তর মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের সূত্র থেকে জানাযায় মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মা ও শিশুদের জন্য বরাদ্ধ জন প্রতি ৩০ কেজি করে ভি,জি, ডি কার্ডের চাউল দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত কার্ডের চাউল বিতরণের বিনিময় কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের বহুল আলোচিত দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন ঘুষ ছাড়া কোন কার্ডধারীকে চাউল না দেওয়ার অভিযোগ বহুদিন ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার সময় মথুরেশপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী রুমা রানী মন্ডল, খাদিজা খাতুন, রেশমা বেগম, রোজিনা খাতুন, আশুরা বেগম, খদিজা খাতুন, সালমা বেগম, রোজিনা, হালিমা বেগম, খালেদা, সালমা, মাধবী, পুষ্প রানী, তানজিলা, আছিয়া, রাবিয়া, সিলা আক্তার, তাসলিমা খাতুন সহ একাধিক কার্ডধারী ভি,জি, ডি কার্ড অথাৎ শিশু কার্ডের ৩০ কেজি করে চাউল সংগ্রহের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যায়। ঐ সময় কার্ডধারীদের নিকট চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন প্রত্যেকের কাছে টাকা দাবী করে। কার্ডধারীরা জোটবদ্ধভাবে ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদেরকে চৌকিদার দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্তর থেকে চাউল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ক্ষোভে কার্ডধারীরা চলে এসে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার অফিসের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে বেলা ১১টা হতে ১২টা পযর্ন্ত মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে কার্ডধারীরা সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তদন্ত পূর্বক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই আশ^াসে কার্ডধারীরা চাউল না নিয়েই বাড়ী চলে যায়। চেয়ারম্যান মিজানের বিরুদ্ধে এর আগেও ভি.জি.ডি কার্ড, ভি.জি.এফ কার্ড, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড সহ নানা বিধি দূর্নীতির অভিযোগ গত ১৮ আগষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবর করা হলেও চেয়ারম্যান মিজানের দূর্নীতির দৌরাত্ব কমেনি। এ প্রসঙ্গে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য চেয়ারম্যানের ব্যবহারিত ০১৭৩০-৯৮৬৯২৩ নম্বরে একাধিক বার যোগযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মানবন্ধন চলাকালীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সারমিন আক্তার ঘটনা স্থলে এসে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হয়। এ প্রসঙ্গে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সারমিন আক্তারের ব্যবহারিত ০১৭৮৭-১৬৭৩০৪ নম্বরে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেনি। নিয়ম অনুযায়ী ভি.জি.ডি কার্ড, ভি.জি.এফ কার্ড, ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের চাউল বিতরণের সময় ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ওমর ফারুক সেখানে ছিলেন না বলে ভুক্তভোগিরা জানান এবং র্দীঘদিন ধরে ট্যাগ অফিসার এবং চেয়ারম্যান মিলে এ সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে আসছেন বলে ইউনিয়ন বাসী জানান।