হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: হাসপাতাল আছে ডাক্তার নাই, রুগী আছে ঔষধ নাই, তার পরও সস্তি নাই হাসপাতালের স্টার্ফ ও এলাকাবাসীর। পাশে কুচের আড়তের পাঁচা দূগর্দ্ধে সুস্থ মানুষ হাপাতালের নিকট আসলেই ডাইরিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘাঁ। এমনই দূর অবস্থার চিত্র চোখে পড়েছে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুশুড়ী গ্রামে অবস্থিত চাঁম্পাফুল ইউনিয়ন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র হাসপাতালটির। ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য প্রেকৌশলী অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ৪ কোটির অধিক টাকায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট সুসজ্জিত ৩ তলা হাসপাতাল নির্মান করা হয়। হাসপাতালটিতে ১০টি বেড, ওটি, আল্ট্রাসনা সহ চিকিৎসার আধুনিক সব ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন ডাক্তার, নার্স। প্রত্যান্ত অঞ্চলের একমাত্র চিকিৎসা সেবায় হাসপাতালটি পেয়ে ইউনিয়ন বাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। যে কারণে প্রতিদিন নারী, পুরুষ, শিশু সহ সব শ্রেনীর রুগীরা হাসপাতালে আসলে ব্যাথা আর আমাশার বড়ি ছাড়া রুগীদের কপালে কিছুই জোটে না। এর মধ্যে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যে ঔষধ সরকারি ভাবে সরবাহ করা হয় বেশির ভাগ কালো বাজারে লোপাট হয় বলে ভুক্তভুগিরা জানান। বুধবার সাড়ে ১১টার সময় সরেজমিনে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র হাসপাতালটিতে গেলে দেখা যায় হাসপাতালের সামনের রাস্তার পাশে ঘুশুড়ী গ্রামের খালেক মোড়লের পুত্র ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের কুচের আড়তের পঁচা দূগর্দ্ধে মুখে রোমাল চেপে রোদে একটি চেয়ারে হাসপাতালের সহকারি নাসিং এটেডেন্ট লিপিকা খাতুন, আয়া সালমা খাতুন, পরিছন্ন কর্মী শরজিত বসে আছে। এই সময় চিকিৎসা নিতে আসা ঘুশুড়ী গ্রামের কুদ্দুস, পলাশ, মরিয়ম, রিজিয়া, ফিরোজা, আশুরা সহ একাধিক রুগী জানান এমনিতে আড়তের কুচের গন্ধে হাসপাতালে ঢোকা যাচ্ছে না তার পর হাসপাতালে কোন ঔষধ নাই আমরা যাবো কোথায়। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত সহকারি নাসিং এটেডেন্ট লিপিকা খাতুন জানান হাসপাতালের এফ, ডব্লিউ, ভি আনোয়ারা আপা টেনিং এ যশোরে গেছে ঔষধদের চাবি তার কাছে যে কারণে আমি কোন ঔষধ দিতে পারছি না। চিকিৎসার ব্যাপারে উপস্থিত রুগীরা জানান হাসপাতালটি প্রতিষ্টার পর হতে ভবন পড়ে থাকলেও আজ পযন্ত কোন ডাক্তারকে এখানে দেখা যায়নি বা আসেনা। তবে হাসপাতালটি ঘুরে ঘুরে দেখা যায় এক্সরে, আল্ট্রাসনা, অপারেশন সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করে হাসপাতালটির তৈরি হলেও শুধু মাত্র ডাক্তার, নার্স না থাকায় শুধু পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ নাই। এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক ভাবে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমানের নিকট জানতে চাহিলে তিনি বলেন হাসপাতালটি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এটা আমারদের দায়িত্বে না আমি সাতক্ষীরায় মিটিংএ আছি পরে কথা বলব। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ প্রবীর মুর্খাজীর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ডাক্তার, নার্স সংকটের বিষয়টি আমারদের জানান আছে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। তবে ঔষধের বিষয়ে তিনি বলেন রুগীরা ঔষধ কেনো পাবে না সে বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। দূগর্ন্ধের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি বিষয়টি উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট কথা বলে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে চাঁম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কুচের আড়ৎ বন্ধের জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি কেন করিনি আমি দেখছি। কুচের আড়ৎদার আব্দুস সালামের নিকট দূগর্ন্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সাংবাদিক পরিচয় শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বলেন আমার ব্যবস্থা আমি করবো আপনাদের যা লেখার তাই লেখেন। বিষয়টি জেলা সির্ভিল সার্জন দেখবেন কি এ প্রশ্ন ইউনিয়ন বাসীর।