হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নে আমিয়ান গ্রামে অবিস্থত এসসিআই এগ্রো লিংক ১০০% হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বাগদা, টাইগার মাছের বজ্যের ময়লা দুর্গন্ধ পানির দুষণে এলাকাবাসী দিশে হারা হয়ে পড়লেও দেখার কেউ নেই। কারখানার আশপাশের গ্রাম গুলোতে বসবাসকারীরা অভিযোগ নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গেলেও কারখানার কর্মকর্তাদের প্রভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্ত ভোগীরা জানান। জন বসতিপূর্ন এলাকার রাস্তার ধারে কারখানা স্থাপিত হলেও বজ্যের পঁচা দূর্গন্ধ পানি ফেলতে হয় ৩ কিঃ মিঃ দুরে কাঁকশিয়ালী নদীতে। বজ্য নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় পাইপের এবং সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা দিয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার দুষিত করে তুলেছে। কারখানার রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচলে যেমন ঝুকি তেমনি আশপাশের গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী নারী পুরুষ শিশুরা পঁচা দূর্গন্ধে সারাক্ষন মুখে কাপড় চেপে থাকতে হচ্ছে। আমিয়ান গ্রামে বসবাসকারী আমিন, জয়ন্ত ঘোষ, ফজর আলী, রফিকুল, মহব্বত সহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান অপরিকল্পিত ভাবে প্রথমে জনগণের বাধার মুখে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে জন বসতি এলাকায় কারখানা গড়ে তোলা হয়। কারখানা হতে ৩ কিঃ মিঃ দুরে ময়লা বজ্য ফেলার জন্য রাস্তার ধার খুড়ে বর্জ নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দিয়ে কাঁকশিয়ালী নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। রাস্তার মাঝে নি¤œ মানের সংযোগ ট্যাংকি নির্মান করার কারণে অধিকাংশ সেফটি ট্যাংকির ঢাকনা ভেঙ্গে আলগা হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লায় আটকে যাওয়া বজ্যের দূর্গন্ধ পানি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। তাছাড়াও কারখানা সংলগ্ন জমির মালিকদের জমিতে বজ্যের ময়লা দূর্গন্ধ পানি ফেলায় মৎস্য ঘেরের মাছ মরা সহ আশে পাশে ফসলের জমি ক্ষতি হচ্ছে। কারখানার পাশে ফাঁকা মাঠে আমিয়ান গ্রামের মৃত আসমত গাজীর এবাদুল ইসলাম এবং নালু ঘোষের পুত্র সন্তোষ কুমার ঘোস গড়ে তুলেছে কারখানার চিংড়ীর মাথার শুকানোর কারখানা। সেখানে খোলা মাঠে পঁচা মাছের দূর্গন্ধে আরও বিষক্ত করে তুলেছে এলাকাবাসীদের। বিষয়টি এমনি চলতে থাকলে এলাকা জুড়ে ডায়রিয়া কলেরার প্রভাব দেখা দিতে পারে বলে আশংঙ্খা করছে এলাকাবাসী। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট সাতনদীকে বলেন প্রতিদিন আমার নিকট নালিশ আসছে। কারখানা কর্তৃকপক্ষ কে বললে সব ঠিক করবেন বলে আশ্বাস দিলেও ঠিক হয় না। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সৈয়েব মাহমুদ সাতনদীকে বলেন আমি নতুন এসেছি প্রথমেই কারখানাটি অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান হওয়ায় এই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি দ্রæত নিরাসনের ব্যবস্থা করছি। প্রসংগত আমিয়ানে অবস্থিত এসিআই কোম্পানীর মৎস্য কারখানায় তরল, কঠিন ও বায়বীয় তিন ধরনের বজ্য উৎপন্ন হয়। প্রতিদিন যে পরিমান তরল বজ্য উৎপন্ন হয় সে গুলো পরিশোধনের (সি,ই,টি,পি)স্থাপনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চিকন পাইপ দিয়ে যে কয়টি স্থাপন করা হয়েছে তাতে ময়লা সচল থাকে না। ফলে ডাম্পিং ইয়ার্ড উপছে তরল বজ্য ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। পঁচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিকের বাতাসে। আর সেটি ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম লোকালয়ে। যে কারণে মুখ বন্ধ করে এলাকার সহজ সরল মানুষরা প্রতিদিন দূর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এলাকাবাসী এবং কারখানার পাশের যাতায়াতকারী পথচারীরা। এর হাত থেকে দ্রæত পরিত্রান চায় এলাকাবাসী। সে জন্য দ্রæত কারখানা অপসারনের দাবী জানান।