
হাফিজুর রহমান : লোকাল, গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩), ২০১৯-২০২০ এর বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠলেও দেখার কেউ নাই। কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দুটি প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী। প্রকল্পের পাশে বাজারগ্রামে বসবাসকারী এস,কে আব্বাস, আশরাফুল, আনিছুর রহমান, আমিনুর মাস্টা,মোহাম্মাদ ড্রাইভার, নজরুল ড্রাইভার, আব্দুল কাদের, মুসা,, শেখ রবিউল ইসলাম, ইসমাইল, খোদেজা বেগম, মনিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নুর জাহান, ফজিলা খাতুন, সহ একাধিক ব্যক্তি জানান কালিগঞ্জ মৎস্য সেট সংলগ্ন জেলা পরিষদের পুকুরের পূর্ব পাড়ে গাজী আব্দুর রহমানের বাড়ি হতে মাছের সেটের আফছার সরদারের দোকান পর্যন্ত ইটের সলিং করনের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অন্য একটি প্রকল্প বাজারগ্রামের মোহাম্মাদ ড্রাইভারের বাড়ি হতে গহরের বাড়ির ফিল্টারের মুখে পুকুরের ধার প্লাসাইটিং করার জন্য ৫০ হাজার ৮ শত ৪২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প দুটির সভাপতি করা হয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল বারী রফু, এবং সাইন বোডে ঠিকাদারের নাম লেখা হয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ খায়রুল আলম, প্রকল্প দুটির কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম এবং প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল বারী এবং ঠিকাদার ইউপি সদস্য শেখ খায়রুল আলমের যোগসাজসে অর্ধেক টাকার কাজ না করে লুটপাটের অভিযোগ তুলে সাদনতীকে জানান। হাজার তিনেকের মতন ইট, ১২ ব্যাগ সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে প্লাসাইটিং এর কাজ শেষ করেছে। আর দেড় হাজার ইট দিয়ে ১৫গজ চল্লিশ হাজার টাকার সোলিং এর কাজ শেষ করেছে। বাকী টাকা লোপাট হলেও কেউ দেখতে আসেনি। ভুক্তভোগীরা আরও বলেন কাজ শুরুতেই ইটের সলিংয়ের রাস্তার সাইন বোডে নব্বই হাজার টাকা লিখলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে ঘষা মাজা সাইনবোডে ৪০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। এলাকা বাসীর অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য প্রকল্প সভাপতি ১নং ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল বারীর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাদনদীকে জানান আমি প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানিনা। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেছে, আমি স্বাক্ষর করেছি। কত টাকার কাজ কি কাজ আমি কিছুই জানিনা। প্রকল্পের ঠিকাদার ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ খায়রুল আলমের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনিও সুর মিলিয়ে বলেন কই আমি তো প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানিনা। চেয়ারম্যানের নিকট কথা বলে পরে জানাবো। এব্যাপারে চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন প্রকল্প সম্পর্কে প্রকল্প সভাপতি বলতে পারবে তিনি সব কিছুই জানেন। এখন ন্যাকা সাজলে চলবে না। এই হলো কালিগঞ্জের এলজিএসপি প্রকল্পের কাজের লুটপাটের লুকোচুরি খেলা। তবে স্থানীয়রা জানান প্লাসাইটিং এর কাজ ৩হাজার ইট, ১২ব্যাগ সিমেন্ট, বালু এবং কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করেছে বলে জানান। তারা আরও বলেন একই ভাবে কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে ইটের সলিংয়ের রাস্তায় কাজ করানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার অফিসের সি,এ ইনছার আলীর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এসে প্রকল্প দিয়ে পাশ করিয়ে নিয়ে যান। তারাই ভালো বলতে পারবেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। এই ভাবে উপজেলা জুড়ে ১২টি ইউনিয়নে এল,জি,এস,পি প্রকল্পের কাজ চলে আসছে বলে এলাকাবাসী জানান।