
হাফিজুর রহমান: কালিগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ায় এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলো। এঘটনায় গতকাল ১টি দোকান সহ ৪টি বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। নতুন করে করোনা সনাক্তকারীরা হলো কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মোমরেজপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদের পুত্র নাঈম হোসেন (২৭), এবং অপর জন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর পুত্র ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম (৭০)।
গত ১৪জুন কৌতুহল বশতঃ মোমরেজপুর গ্রামের নাঈম হোসেন কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে কোন উপসর্গ ছাড়া করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেয় এবং সর্দ্দি কাশি জ্বর নিয়ে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম উপসর্গ নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেয়। শুক্রবার সকালে তাদের নমুনা স্যাম্পলের রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান নিশ্চিত করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলার করোনা রেসপন্স টিমের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের নির্দেশে থানা পুলিশের সহায়তায় মোমরেজপুর গ্রামে আক্রান্ত নাঈম সহ তার দোকানের কর্মচারীর দুটি বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করা হয়। একই ভাবে কৃষ্ণনগর বালিয়াডাঙ্গা বাজারে আক্রান্ত নজরুল ইসলামের দোকান সহ তার বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করে। তবে এর মধ্যে করোনা পজেটিভ নাঈম হোসেন এ প্রতিনিধি কে বলেন সে কৌতুহল বশত: গত ১৪ জুন কোন উপসর্গ ছাড়া হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের স্যাম্পল দেই। এখনও তার শরীর সুস্থ্য এবং কোন উপসর্গ না থাকলেও পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, মনোবল নিয়ে চিকিৎসা করলেই সুস্থ্য হওয়া সম্ভব।