হাফিজুর রহমান:
একই স্থানে কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মস‚চি পুলিশি বাধায় পন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৭জানুয়ারি বিকাল ৪টার সময় ধলবাড়িয়া চৌমুহনী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য সাময়িক বহিষ্কৃত সভাপতি বিগত ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পরাজিত হয়ে সরকার এর তিন বছর প‚র্তি পালন উপলক্ষে গতকাল এ সভা ডাকেন।
পাল্টাপাল্টি ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদাত ওরফে রাজা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ইন্ধনে একই স্থানে সভা ডাকে। উক্ত সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকরা হাজির হলে এলাকায় মার মুখী উত্তেজনা বিরাজ করে।
খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা হতে এক প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমাবেশ পন্ড করে দেয়। ওই সময় খবর পেয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী মুন্সি এবং সাধারন সম্পাদক তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলেন।
প্রসঙ্গত বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান আলহাজ গাজী শওকত হোসেন পরবর্তীতে নানান বিতর্কে এবং জেলা আ'লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম ফজলুল হকের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি সজল মুখার্জির টাকা চাওয়ার ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সজল মুখার্জিকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
গতকাল বহিস্কৃত দুই নেতার সভা আহবানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে সজল মুখার্জি সাংবাদিকদের জানান, জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কারাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থগিত করেছে।
ঘটনার সত্যতা জানার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সী এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দলীয় আলোচনা করে জানানো হবে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান একই স্থানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মস‚চিতে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় ওই স্থানে কোন কর্মস‚চি পালন করতে দেওয়া হয়নি।