
হাফিজুর রহমান:
জেলা প্রশাসনের অনুমতি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র না নিয়ে অবৈধ ভাবে পরিচালিত কালিগঞ্জে মেসার্স ব্রাদার্স ব্রিকস্্ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্র্দেশে সোমবার বেলা ১টার সময় সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল আমিনের নের্তৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলার সহকারী উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনার সময় মেসার্স ব্রাদার্স ব্রিকস্্ এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল ওয়াদুদ কে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই তায়েশ উদ্দীন সেখানে উপস্থিত থাকলেও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।
জামায়াত নেতা আব্দুল ওয়াদুদ, তার সহোদর বি,এন,পি নেতা সেলিম হোসেন ওরফে বাবলু এবং কায়েশ সরকারী খাস সম্পত্তি এবং নদীর চর ভরাটি জায়গা দখল করে ঘনবসতীপূর্ন লোকালয়ে গড়ে তোলে ভাটার কার্যক্রম। পরে আস্তে আস্তে ভুমিহীনদের জায়গায় জোর পূর্বক দখল এবং আশ পাশের এলাকার মানুষের রেকর্ডীয় জায়গা গায়ের জোরে দখল করে গড়ে তোলে ব্রাদার্স ব্রিকস্। ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ইট ভাটা মালিক সমিতি সাতক্ষীরার নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করে আসছিল।
তবে ২০১৬ সালের পরে আর কোন কাগজ পত্র না করে হাইকোর্টের রিডের দোহাই দিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বহাল তবিয়তে ভাটা পরিচালনা করে আসছিল। অধিদপ্তরের ছাড় ছাড়া অবৈধ ভাবে ভাটা ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাকে নোটিশ দিলেও সে তোয়াক্কা করেনি। বিষয়টি স্থানীয় গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক কে জানালে এ অভিযান শুরু হয়। ভাটার নাম করে স্থানীয় ব্যক্তিদের নিকট হতে জমি বক্রিয়ের কথা বলে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা গ্রহন করে পরে জমি লিখে দিতে টালবাহানা করায় টাকার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকে চেক দেয়। পরে ব্যাংকের হিসাবে টাকা না থাকায় ভুক্তভোগীরা উপায়ন্তর না পেয়ে প্রতারক ভাটা মালিক আব্দুল অদুদ সহ তার ভাইদের নামে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী উপ পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈ ভাবে ভাটা পরিচালনা করায় ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী এক দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মুচেলিকা দিয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ এবং স্থান পরিবর্তন না করলে তার বিরুদ্ধে আবারো মামলা দায়ের করা হবে। এ ব্যাপারে ভাটা মালিকের ভাই কায়েশ বলেন হাইকোর্টে আমাদের রিটের প্রস্তুতি চলছে।