
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতার সন্ত্রাসী আশরাফ আলী পাড় ও আরিফুজ্জামানসহ তাদের পরিবারের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি ও জীবন রক্ষার দাবীতে এক প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার নলতা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক এ.এচ.এম আনিছুর রহমান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পৈত্রিক ভিটা যাহা ১৯৬২ সালে সাতক্ষীরা ২য় মুনসেফ আদালত থেকে সোলে ডিক্রি প্রাপ্ত হইয়া ৯৮ শতক জমি আমার পিতা মৃত গোলাম মোস্তফা ও আমার চাচা মৃত গোলাম মোর্তজা স্বত্ববান হন। যার মধ্যে ১০ শতক জমি অধিগ্রহন করেন। অবশিষ্ট ৮৮ শতক জমির মধ্যে আমার পিতা ও আমার চাচা গোলাম মোর্তজা সমপরিমান ৪৪ শতক করে প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে আমার চাচা তার অংশ হতে ২০০০ সালে ১৫ শতক সম্পত্তি নুরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের নামে দানপত্র করেন। এরপর ২০১০ সালে শহিদুল ইসলামের অংশের ৭.৫০ শতক জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে আমার পিতা গোলাম মোস্তফা স্বত্ব প্রাপ্ত হন। এতে আমার পিতার মোট সম্পত্তির পরিমান দাড়ায় ৫১.৫০ শতক। অপর দিকে আমার চাচা গোলাম মোর্তজার সম্পত্তির পরিমান কমে হয় ২৯ শতক। তিনি বলেন, আমাদের উক্ত সম্পত্তি আমার পিতাসহ তার ওয়ারেশ গন ২০০৮ সাল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে বসবাস করে আসিতেছিলাম। এরই মধ্যে আমার পিতা জানতে পারেন আমার চাচা গোলাম মোর্তজার অংশের জমি অন্যত্র হস্তান্তর করিয়া আমার পিতার অংশের বসতভিটায় জোর পূর্বক অনুপ্রবেশ করার পায়তারা করা হচ্ছে। এরপর আমার পিতা আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেন। সাতক্ষীরা যুগ্ন জেলা জজ ২ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন (যাহা চলমান রয়েছে)। উক্ত মামলার জবাবে বিবাদী গোলাম মোর্তজা স্বাকীর করেন যে, তার প্রাপ্ত অংশের ৩৩ শতক জমি অন্যত্র হস্তান্তর করেছেন। এছাড়া বাকী ২৯ শতক জমি ছাড়াও আরো অতিরিক্ত ৪ শতক জমি তিনি অন্যত্র হস্তান্তর করেছেন। এরপর আমার চাচা গোলাম মোর্তজার মৃত্যুর পর তার মেয়ে জামাই আশরাফ আলী পাড় ও আরিফুজ্জামানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের পৈতৃক ভিটা বাড়ি দখলের পায়তারা চেষ্টাসহ আমাদের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি এবং জীবন নাশের হুমকিও প্রদান করে যাচ্ছেন। এরই জের ধরে গত ইং ১৯/৭/২০১৯ তারিখ থানা পুলিশের সহযোগিতায় আশরাফ আলী পাড় ও আরিফুজ্জামান নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের বসত ভিটায় প্রবেশ করিয়া বারান্দার গ্রীলসহ অন্যান্য জিনিস ভাংচুর করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এরপর তারা আমার সেজ ভাই সাইফুল্লাহ পলাশকে তার নিজস্ব ব্যবসা থেকে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে বেধড়ক মারপিট করে। যা থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানালেও থানা পুলিশ কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি। উপরোন্ত আমাদের নামে এসিড মামলা দেয়ার ষড়যন্ত্র করলে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সেটি বন্ধ হয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে উক্ত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদের সম্পত্তিসহ মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, তার বৃদ্ধা মাতা লুৎফুন নেছা।