
হাফিজুর রহমান: ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ শে আগষ্ট গ্রেন্টে হামলা উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা এবং গণভোজ বিতরণ করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে ২২ আগষ্ট রবিবার চৌমুহনী সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ দোয়া ও শোক দিবস পালিত হয়। সভায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশেক ইকবাল পাপ্পির সঞ্চলনায় উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম নান্টু। অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সংসদ সদস্য এস,এম,জগলুল হায়দার।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ্যাডঃ মোজাহার হোসেন কান্টু, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহছান, কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ সভাপতি ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, শ্যামনগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুস সাত্তার, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল হক সরদার, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন কুমার পাল বাচ্চু, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর হোসেন রনি, মটর চালক লীগের সভাপতি শেখ লুৎফর রহমান, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান, কালিগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি,এম,সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে উপস্থিত সদস্যদের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ১৫ আগষ্ট এবং ২১ শে আগষ্ট একই সূত্রে গাঁথা। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবার কে হত্যা করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার কে নিশ্চিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্য চক্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহেনা বেচে যাওয়ায় পরিবার থেকে নিশ্চিন্ন করা যায়নি। কিন্তু বি,এন,পি জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব শুন্য এবং বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্ট ঢাকা পল্টন ময়দানে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড মেরে হত্যা চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বেচে যায়। যার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।