
নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিগঞ্জের দীর্ঘদিনের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে নারীসহ একের এক মিথ্যা মামলায় জেল হাজত খাটিয়ে হয়রানি, মারপিটসহ খুন জখমের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালিগঞ্জ এর পূর্ব নলতা গ্রামের মৃত. জমাত আলী সরদারের কন্যা মোছা: রেবেকা খাতুন এ অভিযোগ করেন। রেবেকা খাতুন বলেন, ‘আমার মায়েরা ৫ বোন। আমার নানা মৃত. কামাল উদ্দিন মোলার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় ৫০৭৩ খতিয়ান, ডিপি নং ৮২৯, মৌজা নলতা, জে এল নং- ১০। জমি জমা আমরা মা ও ৪ খালাদের নামে লিখে দিয়ে যান। সে অনুযায়ী দীর্ঘদিন যাবত আমার মা খালাসহ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। জমির দলিলসহ সকল কাগজপত্র আমাদের মা খালাদের নামে রয়েছে। কিন্তু একই এলাকার মৃত কলিমউদ্দীন মোল্যার পুত্র রমজান আলী এবং তার ভাই জোহর আলী উক্ত সম্পত্তির মধ্যে থেকে ২২ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১১ শতক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে। বিশেষ করে সম্প্রতি ২২ শতক সম্পত্তি ভ্রমত্মকভাবে নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। কিন্তু সম্পত্তি আমাদের ভোগদখলে রয়েছে। আমরা বিষয়টি অবগত হয়ে রেকর্ড সংশোধনের জন্য উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া উল্টো রমজান আলী উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে ১৪৫ ধারায় আবেদন করলে আদালত দখলকারীর দখল বজায় রাখায় নির্দেশ দেন। এতে রমজান আলীগং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে পড়ে। কিন্তু কাগজপত্রে আমাদের কোনভাবেই দূর্বল করতে না পেরে আমাকেসহ আমার খালাতো ভাই, বোনাই এর নামে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে একের পর এক মিথ্যা চাঁদাবাজি, নাশকতা এবং ননজিআর মামলা দায়ের করে। ইতোমধ্যে আমরা দুটি মিথ্যা মামলায় জেল হাজত খেটেছি। এখনো আমার খালাতো ভাই আবু হাসান এবং বোনাই রাশেদ কারাগারে রয়েছে। মামলা গুলোর নাম্বার যথাক্রমে কালিগঞ্জ থানার ডায়েরি নং- ১০৮৩ ,নন জিআর ৯১/২২, তাং ০৬/০৯/২০২২, সিআর ৮৭৩/২২(কালি:)সহ নাশকতার মামলা। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারে যে কজন পুরুষ রয়েছে সকলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বাড়ি পুরুষ শূণ্য করে ফেলেছে। এখন আবার বাড়ির মহিলাদেরও মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া পর সম্পদ লোভী রমজন এবং তার ভাই জোহর প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছেন একডজন মামলা দিয়ে তোদের ভিটেবাড়ীতে ঘুঘু চরিয়ে ছাড়বো। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবে। ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের উচ্ছেদ করবে মর্মে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা সকলেই অতিদরিদ্র, কেউ ভ্যান চালিয়ে কেউ দ্বীন মজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অন্যদিকে রমজান এবং তার ভাই জোহর আলী অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ায় তাদের অর্থের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমাদের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায় করে আমাদের পথে বসানোর পায়তারা করে যাচ্ছে। উল্লেখিত রমজান এবং জোহর আলী অতি চতুর হওয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত মামলা না দিয়ে মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে চাঁদাবাজি, নাশকতা এবং ননজিআরসহ বিভিন্ন মামলার সৃষ্টি করে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। মামলার কারনে পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকে। এ সুযোগে রাতে আমাদের বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে দিতে পারে বলে আশংকা করছি। তিনি ওই পর সম্পদ লোভী রমজান এবং জোহর আলী গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট র্কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।’