নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর শাখারিপাড়ার প্রায় ৯০ বছরের বৃদ্ধ হরিপদ আচার্য্য। বৃহষ্পতিবার রাত আটটার দিকে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পাওখালি সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ও আদি যমুনা নদীর তীরে পাকা রাস্তার মাঝখানে তার চিতা জ্বলছিল। শ্মশান দখল করে রাস্তা ও রাস্তার উপর চিতা জ্বলার দৃশ্য বাংদেশের অন্য কোন উপজেলায় আছে কিনা তা অনেকের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃতের ছেলে বাদল আচার্য জানান, ঠিকাদার মতি যখন দুই বছর আগে শ্মশান উচ্ছেদ করে পাকা রাস্তা করার উদ্যোগ নেয় তখন সমালোচনার ঝড়ে কাজ বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি হয়। কিন্তু উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদের কতিপয় নেতা ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র শ্মশানঘাট বানানোর শর্তে ঠিকাদারকে কাজ করার অনুমতি দেন। ওই টাকা তাদের পকেটস্ত হওয়ায় তার বাবা কেন স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের হিন্দু শবদেহ এমনিভাবেই রাস্তার উপর সৎকার করা হচ্ছে। তবে শ্মশানযাত্রী উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা গোপীরঞ্জন অধিকারী জানান, তার মাকে সৎকার করার সময় তারা ঠিকাদারের রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এরপরও কিভাবে রাস্তা হলো তা তিনি জানেন না।