
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের জমি নিজের দাবী করে বিজ্ঞ আদালতে এহসানুল হাবিব গংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত ৪ মাস ধরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে চলেছে। নলতা মৌজার বি এস ৩৪২৫ নং খতিয়ানের ৫১৬ দাগের ১ শতাংশ জমি নিয়ে নলতা গ্রামের মৃত মুনসেফ আলীর পুত্র এহসানুল হাবিব গংরা বংশানুক্রমে শত বছরের অধিক ভোগ দখলে আছে। উক্ত জমি নিয়ে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সার্ভে আপিল ট্রাইবুনাল আদালতে গত ২২/১০/২০২৩ ইং তারিখে এল এস টি এ ৩০/২০২৩ নং দেওয়ানী মামলা বিচারাধীন আছে। বিজ্ঞ আদালতকে উপেক্ষা করে উক্ত জমি একই গ্রামের এ এইচ এম মাহফুজুল হক গংরা নিজেদের দাবি করে গত ৭/৪/২৫ ইং তারিখে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় ১ টি পিটিশন মামলা সহ গত ১৯/০৬/২০২৫ ইং তারিখে একই আদালতে আরও ১ টি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭ /১১৭ ধারায় পিটিশন ৪৪৫/২৫ নং মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সহকারি কমিশনার ( ভূমি) কালিগঞ্জকে নির্দেশ দেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরপরও বাদী জাহিদুল হক গত ২৯ মে বিজ্ঞ আদালতে উক্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘেরা বেড়া দেওয়ার জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা খারিজ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালীগঞ্জের নির্দেশে নলতা ইউনিয়নের চালতে বাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তহশীলদার জালাল উদ্দিনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তহশিলদার জালাল উদ্দিন তদন্ত করে গত ২৩ এপ্রিল ১ শতক জমি এহসানুল হাবিবের দখলে বলে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। এরপরও বর্তমানে জাহিদুল ইসলাম গংরা প্রতিনিয়ত জোরপূর্বক জবর দখলের পায়তারা সহ বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রশাসনকে হয়রানি হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য মামলার বাদী জাহিদুল হকের নিকট একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি । এ ব্যাপারে তহশীলদার জালাল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বিরোধপূর্ণ ১ শতক জমি কাগজপত্র অনুযায়ী এহসানুল হাবিবের দখলে আছে।