
আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারে পক্ষ থেকে খুলনা বিভাগীয় কশিনার ও কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের গোপী রঞ্জন অধিকারীর ছেলে শ্যামসুন্দর অধিকারী (৩৮) জানান, তিনি উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম রহিমপুর (জেএল-৫৬) মৌজায় আরএস নং-১২৯ ও ১৯৪ খতিয়ান এর খারিজ ৬৪০ নং খতিয়ানে ৭৭ দাগে ১১ শতক জমি কিনে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত বসবাস করছেন। বাড়িতে যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী শেখ শাহাজালল গং বেশ কিছুদিন যাবত তাদের নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এর প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিঃ ১০৪৩/২৩ (১৪৫ ধারা) নং মোকদ্দমা দাখিল করেন শ্যামসুন্দর অধিকারী। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আজাহার আলী কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলামকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলাম প্রতিপক্ষ শেখ শাহাজালাল গং দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নোটিশ ছাড়াই আকস্মিকভাবে নালিশী জমিতে উপস্থিত হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, পক্ষপাতমূলক অবাস্তব একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরীপূর্বক গত ১৭/০৮/২৩ খ্রি. তারিখে ১৪৮ (যুক্ত)/এস নং স্মারকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন। লিখিত অভিযোগে শ্যামসুন্দর অধিকারী আরও জানান, আদালত থেকে তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করার পর তিনি রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেছেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিজ্ঞ বিচারক কোন পদক্ষেপ নিলে পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করতে পারবেন না। কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কেন মিথ্যা, মনগড়া অবাস্তব তদন্ত প্রতিবেদন দিলেন সে ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্যামসুন্দর অধিকারী। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য কুশুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জিএম নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।