
নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের শুরুতেই কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসর নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে একাধিক জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে। এক জায়গায় বন্ধ হলে চলে অন্য জায়গায় তারা। ঠিক তেমনি কালিগঞ্জের কুমারখালিতে কালিপ‚জার অন্তরালে চলছে লঙ্গ নৃত্য ও রাত ভোর জমজমাট জুয়ার আসর। ফলে প্রতিদিন কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত দর্শকের কাছ থেকে জুয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়া আয়োজক চক্র।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের শ্যামা কালিপ‚জার আয়োজন করেন গ্রামবাসি। আর প‚জার অন্তরালে কুমারখালির মাঠে বসানো হয়েছে অবৈধ্য জমজমাট জুয়ার আসর।
কাটাকাটি, নিপুণ, চড়াচড়ি, ডায়েস, ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, রেমিসহ নানা নামে, নানা ভাবে অবাধে চলছে এ জুয়ার আসর। জুয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়া আয়োজক চক্র। আর এ জুয়ার আসর বসায় সর্বশান্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
আইনানুসারে জুয়া খেলা দন্ডনীয় অপরাধ হলেও কালিগঞ্জের সাতপুর গ্রামের খোকা,উজিরপুরের রুহুল আমিন ও জহরুলসহ আশাশুনি,কালিগঞ্জের কয়েক জন জুয়াড়ী জমজমাট জুয়ার আসর চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাড়া মহল্লায় এ ধরনের উন্মুক্ত জুয়ার আসর বসায় এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোর, পকেটমার, মলমপাটির সদস্য, কৃষকসহ ঝুঁকে পড়েছে উঠতি বয়সী কলেজের যুবকরা। একারনে এলাকায় চুরি, ছিনতাই দিন দিন বেড়েই চলেছে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রতিনিধিকে জানান, এইচ এস পরীক্ষা চলা কালিন সময়ে কিভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই ধরণের অবৈধ্য জমজমাট জুয়া বসানো হয়েছে তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসরের কথা আমার জানা নেই। তবে ধর্মী যাত্রাপালা হচ্ছে বলে আমি জানি। আজকে তা বন্ধ হয়ে গেছে।
কালিগঞ্জের সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মোহাইমেনুর রশিদ সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে বলেন, জুয়ার আসরের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আমাদের চোখ ফাকি দিয়ে চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে সমাজ তথা পরিবার ধ্বংশকারী এ জুয়ার আসর বন্ধের জন্য পুলিশ সুপার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।