সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি থেকে:
ভালো নেই আশাশুনির স্বর্ণশিল্পের সাথে জড়িত অধিকাংশ মালিক ও শ্রমিকেরা। গেল নববর্ষ, বিয়ে সামনে ঈদকে সামনে রেখে এসময় ব্যস্ত থাকত স্বর্ণ শিল্পের কারিগররা। বর্তমানে বেশিরভাগ স্বর্ণের কারিগরা করোনা ভাইরাসের কারনে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। স্বর্ণকারিগরদের সবচেয়ে বড় মৌসুম বাংলা নববর্ষ, বৈশাখ, বিয়ে সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান।হাতে কাজ নেই, নতুন করে অর্ডার ও বন্ধ। ফলে উৎপাদনের পাশাপাশি আয় বন্ধ হয়ে পড়ায় উপজেলায় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কারখানা মালিকরাও এখন বিপর্যস্ত। এই অনিশ্চয়তা কবে কাটবে তারও কোনো ধারণা নেই । যে কারণে এই শিল্পের সাথে জড়িত কয়েক শত শ্রমিকদের মাঝে শঙ্কা বাড়ছে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, আশাশুনি, গুনাকরকাটি, পাইথলি, চাম্পাফুল, মহিষকুড়, প্রতাপনগর, আনুলিয়া বড়দল এলাকার কারিগরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নানা ডিজাইনের গহনা তৈরিতে নির্ঘুম সময় পার করত কারিগররা। কারিগরদের চিরচেনা খট খট শব্দের মাঝে কারিগরদের মিষ্টি কন্ঠের গানে মুখরিত থাকতো পুরো কারখানা এলাকা। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাস এর কারণে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় হাত ছাড়া হয়ে গেছে নববর্ষের বাজার। ঈদের বাজার নিয়েও শঙ্কায় কারিগর ও মালিকরা।
সম্পকিত খবর
- কালিগঞ্জে ফটোকপির হিড়িক
- লকডাউন না মেনে কালিগঞ্জে জ্বলছে ইটের পাঁজা, চলছে জুয়ার আসর
- বাংলাদেশী রোগী আসা বন্ধ থাকায় বিপন্ন কোলকাতার অর্থনীতি
- আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা চাই
বুধহাটা বাজারের স্বর্ণ শ্রমিক বাবু পাল জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জুয়েলারী ব্যাবসা সহ বন্ধ রয়েছে সমস্ত জুয়েলারী কারখানা ও পাইকারী দোকান। বেকার হয়ে পরেছে আশাশুনি উপজেলার শত শত স্বর্ণ শিল্পীর কারিগর। ফলে কর্ম হারা শ্রমিক বর্গের পরিবার গণ মানবতার জীবন জাপান করছে। এই অবস্থায় স্বর্ণশিল্পী শ্রমিক ও পরিবারদের পাশে আজ পর্যন্ত কেউই উল্লেখযোগ্য ভাবে দাড়ায়নি।
সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য ২৬ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিকগণ কারখানা বন্ধ রেখেছে।
করোনা ভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সম্পুর্ন ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ মেনে, নিজ নিজ কর্মস্থান ও কারখানা বন্ধ রেখে বাড়ীতে অবস্থান করছে স্বর্ণ শিল্পীরা।
এমন অবস্থায় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারি সহযোগিতা সহ সংশিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, আশাশুনির স্বর্ণ শ্রমিকরা।