নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে সার বিক্রি করায় বিপাকে পড়েছেন কলারোয়া উপজেলার প্রান্তিক চাষীরা। কৃষকের দাবি, সারের চাহিদা বেশি থাকায় ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপিসহ সকল প্রকার সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উপজেলার কোমরপুর গ্রামের কৃষক জেহের হোসেন বলেন, সরকার সারের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না ডিলাররা। তিনি কেজি প্রতি ২২ টাকার ইউরিয়া সার ৩০ টাকা এবং ২৮ টাকার পটাশ সার ৩২ টাকা কেজি দরে কিনেছেন বলে জানান। কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম বলেন, ১১০০ টাকার ইউরিয়া সারের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়। ১১০০ টাকার টিএসপি সারের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়। এছাড়া ৭৫০ টাকার পটাশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। তিনি জানান, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে এসব সারের দাম বাড়িয়েছেন।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সভাপতি ও সোনাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজামান বলেন, আমি ৪ কেজি ইউরিয়া সার ১১৫ টাকা দিয়ে কিনেছি! এভাবে সারের বাড়তি দাম নিলে উপজেলার কৃষকদের ফসল উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি বিষয়টি সমাধানে দ্রæত উপজেলা কৃষি অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার খোরদো, বামনখালী, সরসকাটি, জয়নগর, কামারালী, বাঁটরাসহ কলারোয়া বাজারের একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানান,বিসিআইসি ডিলাররা বাড়তি দামে সার বিক্রি করায় বাজারেও সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এবিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছুই করার নেই।
এবিষয়ে বিসিআইসি ডিলার সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, জেলা ও উপজেলা থেকে সার নিয়ে আসতে পরিবহন খরচ বাবদ বাড়তি টাকা খরচ হয়। তাই সারে সামান্য বাড়তি পয়সা নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, বাড়তি দামে সার বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, তিনি শুনেছেন কৃষকের কাছে বাড়তি দামে সার বিক্রির কথা। তবে বাড়তি দামের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ডিলাররা। তিনি বলেন, তারপরও এ ব্যাপারে ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে।
কলারোয়ায় সারে বস্তাপ্রতি ২’শ টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট