নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় কাল বৃহষ্পতিবার। সে অনুযায়ি বৃহষ্পতিবার সকালে এ মামলায় জেল হাজতে থাকা ৩৪ জন আসামীকে কারাগার থেকে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর এর আদালতে হাজির করা হবে। কারাগারে থাকা আসামীরা হলেন, সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, মোঃ আব্দুর রকিব মোল্যা, মোঃ আক্তারুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ হাসান আলী, ময়না, মোঃ আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, মোঃ জহুরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, অ্যাড. মোঃ আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, মোঃ আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মোঃ সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, রকিব, ট্রলি শহীদুল, মোঃ মনিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, শেলী, শাহিনুর রহমান, দিদার মোড়ল, সোহাগ হোসেন, মাহাফুজুর মোলা, আব্দুল গফফার গাজী, রিঙ্কু, অ্যাড. মোঃ আব্দুস সামাদ, টাইগার খোকন ওরফে বেড়ে খোকন। এ মামলায় পলাতক আসামীরা হলেন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, মোঃ আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, আরিফুর রহমান, রিপন, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু , নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কণক, মোঃ মাহাফুজুর রহমান। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার উপর একটি যাত্রীবাহি বাস আড় করে দিয়ে বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন। পেনালকোর্ডের মামলাটি (টিআর-১৫১/১৫) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারাধীন। মামলায় ১৬ জন আসামী পলাতক রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে কাঠগড়ায় থাকা ৩৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রায় এর জন্য দিন ধার্য করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর।