নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ায় গ্রাম্য পশু গ্রাম ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন সজীবের ভুল চিকিৎসায় গর্ভে থাকা বাছুরের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। সজিব পৌরসদরের গপিনাথাপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ছেলে। এই বিষয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভুগী এবং একজন সাংবাদিক। সজিব নিজেকে এসিআই কোম্পানির মাঠ কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন ।
কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা যায়, আক্তারুল ইসলাম(২৯) নামে একজন গরু চাষী গরু পশু ডাক্তার সজিবের ভুল চিকিৎসায় পেটে থাকা বাছুরের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসার কর্মকর্তার অমল কুমার সরকারের অনুমতিক্রমে সরোজমিনে পরিদর্শনে যান এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার শেখ রাফাত হোসেন। ভুক্তভোগী চাষী আক্তারুল ইসলাম এবং আক্তারুল ইসলাম এর স্ত্রী নুর নাহার খাতুনের সাথে কথা বললে তারাও পশু গ্রাম ডাক্তার সজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে এই ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ডাক্তারের ভাই সেনা কর্মকর্তা প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন তার মোবাইল নাম্বার ০১৭৯৮২১১৫৭২।
পক্ষান্তরে তারা সাংবাদিকদেরকে এমন কথা বলেও হুমকি দেন যে বীজ আপনি (সাংবাদিক) দিয়েছেন তাঁর সাক্ষী ও আমার কাছে আছে কিন্তু আপনার কাছে কি কোন ভিডিও ফুটেজ আছে আমি দিয়েছি। পরবর্তীতে কথা বললে জেলের ভাত খাওয়াবেন চাঁদাবাজির মামলা দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন এই সেনা কর্মকর্তা ও তার ভাই গ্রাম্য পশু ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন সজিব। পক্ষান্তরে বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা ফোন দিলে তাদেরকেও হুমকি দিতে থাকেন এই সেনা কর্মকর্তা এবং তার ভাই।
এ বিষয়ে থানার অভিযোগে বলা হয়েছে সজীব আমাদের এলাকার একজন পশু ডাক্তার আমার গরুর অসুস্থ হলে আমি তাকে চিকিৎসার জন্য ডাকি তিনি এসে আমার গরুকে পরীক্ষা করে বলেন এর হিটে আছে বলিয়া প্রজনন করতে হবে বলে পরামর্শ দিলে আমি তার কথামতো আমার গরুকে প্রজননের মাধ্যমে কাজ করতে বলে। কিন্তু আমার গরুর পেটে পাঁচ মাসের বাছুর ছিল সে বিষয়ে তিনি অবগত না হয়ে আমাকে ভুল পরামর্শ দিয়েছেন এর জন্য আমার বহু ক্ষতি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই সকল ভুল চিকিৎসার জন্যই আজকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খামারিরা হারিয়ে যাচ্ছে এ সকল উদ্যোক্তারা চিকিৎসার গুণগতমান আরো বাড়ানোর পাশাপাশি ডাক্তারদের নিয়মিত তদারকির আওতায় আনাও জরুরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ গন। এ বিষয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিব।