
নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ার বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রী কলেজের নৈশ প্রহরী পদে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে শিবির কর্মীকে নিয়োগের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের সভাপতি মইনুল হাসান ও অধ্যক্ষ আবু বক্কার সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার একাধিক প্রার্থী বলেন, সম্প্রতি ওই কলেজের ৩টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে ওই কলেজের অধ্যক্ষ। নৈশ প্রহরী পদের বিপরীতে ১০ জনের অধীক প্রার্থী আবেদন করে। পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে সভাপতি ময়নুল হাসান অধ্যক্ষের যোগসাজসে নিলকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে শিবিরকর্মী মোখলেছুর সরদারকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
ওই সকল প্রার্থী আরো বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে সভাপতি মইনুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রার্থী ঠিক হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই।
এদিকে টাকার বিনিময়ে শিবির কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মইনুল হাসান নিজেকে জাসদ নেতা দাবি করে দম্ভস্বরে বলেন, আমাকে যিনি(একজন জনপ্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে) সভাপতি বানিয়েছেন আপনি তার সাথে কথা বলেন। এ ব্যাপারে তিনি বলতে পারবে। তারও একটা পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে। এছাড়া তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন টাকা নেওয়া হচ্ছেনা।
এদিকে জয়নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসমত আলী বলেন, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। মোখলেছুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা কঠিনভাবে জামায়াত করে। সম্প্রতি আমার বাড়ির পাশের একটি জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা রওশন মেম্বরের কাছে দিয়েছে বলে শুনেছি।
তবে জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রওশন আলী বলেন, কলেজের পাশেই আমার বাড়ি সেই সুবাদে নিয়োগ হবার বিষয়টি শুনেছি। অতএব নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না।
বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। পরীক্ষার মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হবে।