কলারোয়া ব্যুরো: সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ডিজিটাল নিরাপত্থা আইনের মামলায় দু’জনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। যাদের জামিন না মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন কলারোয়া উপজেলাধীন কলারোয়া পৌরসভার ৭নং মুরারিকাঠি ওয়ার্ডের মৃত বাবুর আলী সানার জৈষ্ঠ পুত্র মোঃ আমজাদ সানা (৫০) ও একই গ্রামের মৃত মোমিন গাজির পুত্র নেছার আলী (৫৩)। তারা কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর বিরুদ্ধে গত ০৯/০৮/২০২১ তারিখে "নিউজ অফ কলারোয়া” নামক ফেসজবুক অনলাইনে ফায়দালুট শিরোনাম পোটাল থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে এক মিথ্যা আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান কলারোয়া থানায় নং ৩৯৮ সাধারণ ডায়েরী করে তাং ০৯/০৮/২০২১। পরবর্তীতে ১২/০৮/২০২১ তারিখ উল্লেখেত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করিলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির এজহার গ্রহন করিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, ২০১৮/২৫/ (১) ২৯ ( ১) ৩১ (২) ধারায় আসামিদের গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা আমলি আদালতে প্রেরন করিলে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে ' সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরন করেন। আসামিদের অন্যান্য সহযোগীরা গত ১৬/০৮/ ২১ তাং আসামিদের জামিনের জন্য আমলি আদালতে আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে আসামিদের অন্যান্য সহযোগীরা পুনরায় জামিন পাওয়ার আশায় জেলা জজ বাহাদুরের আদালতে মিস কেস -৪৭২ তাং ১৮/০৮/২০২১ দায়ের করেন। জেলা জজ বাহাদুর ১৯/০৮/২১ তাং শোনানীর জন্য দিন ধার্য করেন। বিজ্ঞ জজ বাহাদুর আসামিদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে, পরবর্তী দিন ধার্য করেন। জেলা জজ বাহাদুরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করা সহ এলাকার শান্তি থাকবে বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন। কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানায় আসামিরা এত বেশি বেপরোয়া যে, যামিন পেলে যে কোন সমায় তারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। সেহেতু যামিন না দেওয়ায় জেলাজজ বাহাদুর কে এলাকাবাসি অভিনন্দন জানিয়েছেন, সাথে সাথে দ্রæত বিচার শেষ করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।