৫আগষ্টের পর হোসেন আলী বাবু অফিস পাড়ায় নিয়ন্ত্রন নিয়েছে, কাঠের পুতুল সাব-রেজিস্টার।
ঘুষ বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করছে আবুল খায়ের ,আব্দুল জব্বার ও মহাসিন হোসেন ।
হাবিবুর রহমান, কলারোয়া থেকে ফিরে: মাসে ৩২লক্ষাধিক টাকা ঘুষ লেনদেন হচ্ছে কলারোয়ার সাবরেজিস্ট্রি অফিসে । ঘুষ বানিজ্যের নিয়ন্ত্রক আবুল খায়ের ,জব্বার, মহাসিন ও বাবু । কাঠের পুতুল সাবরেজিস্টারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিদিনই ঘুষের টাকা ভাগ বটোয়ারা হয় সংশ্লিষ্ট অফিস স্টাফদের মধ্যে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিস চলে সপ্তাহে রবি ও সোমবার । মাসে অফিস চলে ৮ দিন । এই ৮ দিনেই ৩২ লক্ষাধিক টাকা চারটি খাত থেকে আদায় করা হয় । ঘূষ আদায়ের প্রথম খাত হলো দলিল সম্পনের ক্ষেত্রে জমির মুল্যের ্ওপর ৭% ঘুষ । এক্ষেত্রে মূল নিয়ন্ত্রক অফিসের নকল নবিশ আবুল খায়ের । প্রতিদিন এই খাতের দুই লক্ষ টাকা পুরাতন জেল খানার নির্ধারিত এক রুমে লেনদেন হয় । স্ব -স্ব দালিল লেখকরা নির্ধারিত জেলখানার কক্ষে গিয়ে মহাসিন হোসেনের হাতে দলিলের নিধারিত মূল্যের ্ওপর ৭% ঘুষের টাকা দিয়ে আসে । পরে মোহরার মাহসিন হোসেন ৭% ঘুষের টাকা পৌছে দেয় নকল নবিশ আবুল খায়েরে হাতে । এই খাতে মাসে ১৬ লক্ষ টাকা লেনদেয় হয় ।
দ্বিতীয় ঘুষের খাত হল দলিল লেখক সমিতি । দলিলের মানের ওপর(জমির মূল্য) ঘুষ আদায় করা হয় । প্রতি লক্ষের বিপরিতে দুই হাজার টাকা দিতে হয় দলিল লেখক সমিতিতে । স্ব- স্ব দলিল লেখক এই খাতের ঘুষের টাকা জমা দেয় অফিসের ক্যাশিয়ার আব্দুর সাত্তারের কাছে । এটি নিয়ন্ত্রন করে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান । এই খাতে প্রতিমাসে ১২ লক্ষ টাকা লেনদেন হয় ।
তৃতীয় খাত হল মসজিদ- মাদ্রাসা । মসজিদ- মাদ্রাসা খাতে দলিল প্রতি এক’শ টাকা নেওয়া হয় । এই খাতের টাকা দলিল লেখক সমিতির স্ব-ষোষিত সাধারন সম্পাদক হোসেন আলী আদায় করে দলিল লেখকদের নিকট থেকে । এই খাতে প্রতিমাসে ৬০হাজার টাকা আদায় করা হয় । মসজিদ -মাদ্রাসা খাতের পুরো টাকা আত্মসাৎ করে হোসেন আলী বাবু । যাকে বলে চোরের ওপর বাটপারি । এই হোসেন আলী বাবু বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় ফাপরবাজি করত । এখন বিএনপির জেলা কমিটির প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় দাপট খাটায় রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ায় ।
চতুর্থ খাত হলো বড় দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা থেকে কোটি টাকা কিংবা ততোর্দ্ধ মূল্য মানের দলিলকে বোঝায়। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ আছে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ৭% ঘুষের টাকা দেওয়া হয়না। কিন্তু দলিল লেখকদের কাছ থেকে ঠিকই ৭% ঘুষের টাকা আদায় করা হয় । এই টাকা আদায় করে নকল নবিশ আবুল খায়ের , আফিস সহকারী আব্দুল জব্বার ও দলিল লেখক হোসেন আলী বাবু । প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫০টি বড় দলিল হয় । এই খাত থেকে প্রতিমাসে রাজনৈতিক নেতাদের ভয় দেখিয়ে সাব-রেজিস্টারকে ৭% ঘুষের টাকা না দিয়ে, এই চক্রটি হাতিয়ে নেয় । স্থানীয়ভাবে এই চক্রটিকে ফাপর বাজ হিাসাবে আখ্যা দেওয়া হয় । প্রতিমাসে এই খাতে আয় হয় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ।
কলারোয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশ আবুল খায়ের অনন্ত ২০ বছর ধরে কলারোয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রন করে আসছে । যে সরকারই আসুক না কেন তার দাপট কমেনা । সে উপজেলা জুড়ে পরিচিত জমির ক্রেতা হিসাবে । আশ-পাশে জমি বিক্রির খবর শুনলেই তা কিনে নেন আবুল খায়ের । অন্য আগ্রহী ক্রেতারা যে দাম বলে, তার বেশি দাম দিয়ে আবুল খায়ের জমি কিনে নেয় । তার বর্তমান সম্পদের মূল্য ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা ।