
কামরুল হাসান: কলারোয়ায় মেহেদি হাসান নামে জামিনপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে আটকের পর মারপিট করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এএসআই আলি হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার কয়লা গ্রামের মেহেদি হাসানের বাড়িতে ও রাস্তায়। মেহেদি হাসান ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদি হাসান জানান, বুধবার রাত ১২ টার দিকে কলারোয়া থানার এএসআই আলি হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাকেন। ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে আসার সাথে সাথে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বলেন তোর নামে ওয়ারেন্ট আছে থানায় চল। এরপর মেহেদি বলেন, ওই মামলায় আমি জামিনে আছি এবং গত কয়েকদিন আগে আমাকে ধরতে এসে জামিনের রিকলটি নিয়ে যায়। এ কথা বলা মাত্রই আমাকে পুলিশ সদস্যরা মারপিট শুরু করে। এসময় আমার স্ত্রী ঠেকাতে আসলে তাকেও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এরপর আমাকে টেনে হেচড়ে গাড়িতে নিয়ে পথিমধ্যে আমার কপাল, হাত, পেট এবং পায়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রক্ত বের হলে থানা পুকুরে নিয়ে সেগুলো ধুয়ে দেয় এবং বলে এ ঘটনা কেউ জানলে তোকে জানে মেরে ফেলবো। এ কারণে ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আমাকে আদালতে চালান দেন কিন্তু আমি আগে থেকে জামিনে থাকায় আমার আইনজীবী রিকল উপস্থাপন করে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার এএসআই আলি হাসানের নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.আসলাম খান জানান, মেহেদির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় এএসআই আলি হাসান তাকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। তবে তাকে মারপিট করা হয়েছে এমনটি আমার জানা নেই। আটক হওয়া মেহেদিও আমাকে জানায়নি।