নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর পিতা মোঃ আয়নুদ্দীন সরদার বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলারোয়া থানাধীন দেয়াড়া নতুন বাজার জামে মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় আয়নুদ্দীনের ছেলে মো. আনিছুর রহমান (৫১) মোটরসাইকেলযোগে খোর্দ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে দেয়াড়া সোনাতলা বাওড় ও এলাকায় বিভিন্ন কমিটির বিরোধকে কেন্দ্র করে আনিছুর রহমানের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে আসছিল। পরিকল্পিতভাবে ওইদিন ২০ জন নামীয় আসামি ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন মিলে লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ, বাঁশের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলার সময় আসামি ইউসুফ আলী (৫০) লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আনিছুর রহমানের চোখে লেগে গুরুতর জখম হয়। গোলাম হোসেন (৪৮) রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। আরেকজন বুকের ডান পাশে হাতুড়ির আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে আনিছুর রহমান রাস্তায় পড়ে গেলে সাহাজুল ইসলাম (৩৫) জিআই পাইপ দিয়ে তার হাঁটুর নিচে একাধিক আঘাত করে। আলিম উদ্দীন (৪৭) বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি প্রহার করলে তার দুই হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়। এসময় আসামিরা আনিছুর রহমানের কাছে থাকা ব্যবসার নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। মানিব্যাগে ছিল একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরসাইকেলের স্মার্ট কার্ড (রেজি নং- সাতক্ষীরা-ল-১৩-৭৬৬৪) ও নগদ ২ হাজার ৫৫০ টাকা। হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত ইয়ামাহা এফ. জেড ভি-২ মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে প্রায় ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তার চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, আনারুল ইসলাম, মিলন হোসেন ও রশিদা খাতুন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন। এসময় আসামিরা প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আনিছুর রহমানকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা নং-১১, তারিখ ১৩/০৮/২০২৫, ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৪২৭/৩৭৯/৫০৬(২) দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।