সেলিম খান, কলারোয়া থেকে:
কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বীরনিবাস পাচ্ছেন ১২ বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ইতোমধ্যে ১১টি বীরনিবাসের পরিপূর্ণভাবে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই এই বীরনিবাস হস্তান্তর করা হবে। সুদৃশ্য এই বাড়ি দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্থায়ী নিবাস হিসেবে রয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’র অধীন অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই বীরনিবাস বাস্তবায়নে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর। বীরনিবাস নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রমজান আহমেদ, জিয়াউর রহমান জানান, তারা ১২টির মধ্যে ১১টি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগসহ নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন করেছেন।একটি বাড়ির নির্মাণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। সে বাড়িটি হলো বীরমুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলীর বাড়ি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস এর সার্বিক সহযোগিতায় দ্রত ও সঠিক ভাবে বীরনিবাস নির্মাণ হয়েছে এবং সঠিক সময়ে বীরমুক্তিযোদ্ধারা তাদের বীরনিবাস পেতে যাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস শতভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া ১১টি বীরনিবাস সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে ঘোষণা আসলেই এই বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, দৃষ্টিনন্দন এই বাড়ির দৈর্ঘ্য ৩১.২২ ফুট ও প্রস্থ ২২.৮ ফুট। যেখানে থাকছে ৩টি রুম, ১টি বারান্দা, ১টি ডায়েনিং রুম, ১টি কিচেন ও ২টি টয়লেট। বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা তো থাকছেই। প্রবেশদ্বারেই রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। প্রতিটি বীরনিবাসের নির্মাণ ব্যয় ১৩লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বীরনিবাস পাচ্ছেন ১২জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এরা হলেন- উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের জিয়াদ আলি ও আব্দুল মালেক, কেঁড়াগাছি গ্রামের আশরাফ আলি, ভাদিয়ালি গ্রামের আবু দাউদ, বলিয়ানপুর গ্রামের আব্দুর রউফ, হিজলদি গ্রামের আতিয়ার রহমান, সুলতানপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম, মোহোর আলি ও আমজের আলি, কিসমত ইলিশপুর গ্রামের শেখ নুরু হোসেন, পূর্ব কোটা গ্রামের আবুল কাশেম এবং দেয়াড়া গ্রামের মোজাফ্ফর আলি।