প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ২:৫৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০২৫, ৮:১২ অপরাহ্ণ
কলারোয়ায় পুলিশের পিবিআই কর্মকর্তা এসআই বায়জিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
কামরুল হাসান: সাতক্ষীরা আমলী আদালত (৪) কলারোয়া, সিআর ৩০৭/২৫ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন প্রতিকার মামলার তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তা এসআই বায়জিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে কলারোয়া প্রেসক্লাবে উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মৃত সামসুল হক গাজির মেয়ে রেকসানা খাতুন এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা এক পুত্র শফিকুর রহমান, তিন কন্যা (১) নাসিমা খাতুন (২) পারভিনা খাতুন (৩) রেকসনা খাতুন ও এক স্ত্রী রহিমা খাতুনকে ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। আমার পিতার মৃত্যুঅন্তে আমি রেকসনা নাম পর্তনের মাধ্যমে ১ একর ২০ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হই। উক্ত সম্পত্তি আমার ভাই শফিকুর রহমানের নিকট দাবী করিলে তিনি জমি দিবেনা বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকি দিতে থাকে এক পর্যায়ে আমি আমার ভাই শফিকুর রহমান ও গংদের বিরুদ্ধে আর.বি.এস ৪১৯ নং দাগসহ আরও ভিন্ন ভিন্ন দাগে ১ একর ২০ শতক জমি দাবি করিয়া সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে ৮৫৬/২৪ নং মামলা করি। উক্ত মামলা এসিল্যান্ড কর্তৃক তদন্তকালে দ্বিপাক্ষিকভাবে আপোষমতে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে মাপজরিপের মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিত করিয়া মিমাংসা হয়। আপোষমতে সীমানা চিহ্নিত মিমাংসা পত্রটি এসিল্যান্ড কর্তৃক আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত উভয়পক্ষের আপোষ মিমাংসার আলোকে সীমানা চিহ্নিত অংশ হইতে বাদি রেকসনার ১একর ২০ শতক জমি শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল বজায় থাকবে ওসি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে মামলা নিস্পত্তি হয়।
আপোষমতে মাপ জরিপের মাধ্যমে আমার প্রাপ্ত জমি সীমানা চিহ্নিতের মাধ্যমে ও আদালতের আদেশ মোতাবেক ভোগদখলে থাকাকালীন সময়ে উক্ত ভ্রাতা শফিকুর রহমান তার চাচাতো ভাই রেজাউল করিম ও রফিকুল ইসলাম পিতা মোসলেম আলী গাজীদের সংগে নিয়া ২৬/০৪/২৫ তারিখে জাল জালিয়াতি কাগজ সৃষ্টি করিয়া আমাকে জিম্মি করিয়া আমার চাষ করতে বাঁধা ও পৈত্রিক বাড়িতে প্রবেশ করিতে বাঁধা প্রদান করে। এমনকি আমার দাবীকৃত ১ একর ২০ শতক জমি তাদের জমি বলিয়া দাবী করেন ও আরও বলেন তোর স্বত্ব দখলীও ১ একর ২০ শতক জমিতে পূনরায় ভোগ দখল করিতে আসিলে বা জমি দাবী করার চেষ্টা করিলে তোকে ও তোর পরিবারকে জানে মেরে ফেলব ও আমার দাবীকৃত জমি ১একর ২০ শতক জমির মধ্যে ১০-১৫ শতক জমি ফেলায় রেখে বাকি জমি তাদের জমি বলিয়া দাবী করেন। আমার প্রাপ্ত জমি তাদের জমির সহিত একলক্তা করিয়া ধান চাষ করিয়াছে। সীমানা চিহ্নিত পিলার উঠাইয়া ফেলিয়াছে।
এমতাবস্থায় আমি উক্ত বিষয় নিয়া সাতক্ষীরা ৪ নং নালিশী আদালতে সিআর ৩০৭/২৫ নং মামলা করি। উক্ত মামলাটির তদন্তভার পি.বি.আই অফিসার এসআই বায়জিদ এর উপর অর্পন করেন। উক্ত বায়জিদ সাহেব আমার ভাই ও চাচাত ভাই (আসামীদের) দ্বারা প্রভাবিত হইয়া মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করিয়া আমার ও আমার স্বাক্ষীদের উপর চড়াও হয় ও আমার জমি দখল নিতে বলে।
আমি বলি যে, তাদের জমির সহিত আমার দাবীকৃত জমির সীমানা চিহ্নিত পিলার উঠাইয়া আমার জমি তাদের জমি দাবী করিয়া ধান চাষ করিয়াছে। কর্মকর্তাকে জানাইলে তিনি নিজেই পিবিআই এএসপি সাহেবের সঙ্গে জোর ভূমিকা নিয়ে বলেন যে বাদি পক্ষের সম্পত্তি ফেলানো আছে দখল করে না। এ বিষয়ে আমি কিছুই করতে পারবো না বরং ধমক দিয়ে বলেন আদালতে মামলা করেছেন আদালতে যেয়ে বোঝেন এ বিষয় আমার সহিত ফারদার কোন কথা বলবেন না ও আমার পক্ষে প্রতিবেদন দিবেন না বলে সাফ জানাইয়া দিয়াছেন ও আমাকে হুমকি প্রদর্শন করিয়াছেন। উক্ত বিষয়টি পিবিআই এর সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবহিত করিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা বায়জিদ সাহেবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন বলিয়া আমি মনে করি। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংম্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.