মো.কামাল উদ্দিন: মানুষ মানুষের পাশে হতে যখন দুরে সরে যাচ্ছিল তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের সময়ের সাহসী পুরুষ হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নিরীহ হতদরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মাবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, পুরো রমজান মাসে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার মানুষকে ইফতার ও সেহেরি খাওয়ালেন, প্রায় পুরো মাস ব্যপী ৫ লাখের বেশি মানুষকে আহার করিয়েছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মেয়র, চট্রলবীর এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষে পুরো চট্টগ্রাম শহরের প্রতিটি অলিগলিতে তাঁর কর্মি বাহিনী বিকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত তারাই বাসার সামনে গরু মহেশ জবাই করে বাবুচি দিয়ে রান্না করিয়ে টাটকা খাওয়ার হতদরিদ্র মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছেন,শুধু অসহায় পথের মানুষ নয় রাত জেগে এবাদত কারি মুসল্লিদের মাঝে-ও তবারুক হিসাবে প্রেরন করেছেন,অসংখ্য মানুষকে নগত সাহয্যোর পাশাপাশি সে-ই একটি নতুন আবিস্কার করেছেন, তাঁর আবিস্কার এর মধ্যে অন্যতম হলো করোনা প্রতিরোধ বুথ, তাঁর উদ্ভাবনি আজ পুরো শহর তথা পুরো বাংলাদেশে একটি মডেল হিসাবে স্থান পেয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের এমন কোন জায়গা নেই করোনার বুথ বসে নাই, বাবরের সহযোগিতার মাধ্যমে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ও মহল্লায় বুথ বসিয়েছেন। চট্টগ্রামে এর পর ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বাংলাদেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় এই করোনা বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শহর ছেড়ে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে এই বুথ।
এই বুথটা কি এবং কেন এত জরুরি তাঁর উপর একটু আলাপ করা দরকার,এই বুথটি ব্যাংকের টাকার বুথের মত তবে এই বুথ হতে টাকা বাহির হয় না,এই বুথের ভিতর হতে আমরা ফ্রি পাবো মাস্কও সেনিটাইজ,করোনার করোন কালে সরকার তথা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই হচ্ছে প্রতিটি মানুষ ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামুলক এবং হাতে ধুতে হবে সাবান বা সেনিটাইজ দিয়ে, সেখানে আমাদের দেশের মানুষ অনেকে দায়িত্ব মনে করে মাস্ক পরে ঘর হতে বাইরে আসেনা,অন্যদিকে একেবারে সাধারণ মানুষ রিকশা চালক হতে শুরকরে ভ্যানচালকগন এবং গাড়ি চালকগন ও মাস্ক পরাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনা সেই বাবর এই বুথ চালুকরণ এর মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যতদিন এই করোনা পুরো পৃথিবীতে থাকবে ততদিনে আমাদেরকে মাস্কও সেনিটাইজ ব্যবহার করতে হবে।তাই বাবর দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তাধারা করে এই বুথ চালুকরণ করেছে,প্রতিটি সচেতন মানুষ এই কার্যকর্মকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে ভুমিকা বাবর পালন করছেন তা আজ প্রশংসার দাবিদার, তাকে জাতীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া প্রয়োজন,শুধু বাবর নয় আমাদের নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর মত মানুষ করোনা কালিন সময়ে যারা এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে ও জাতীয় ভাবে সম্মান জানানোর দরকার, তাহলে বাবরদের মত আরো অনেক বাবরা এগিয়ে আসবে।
কে-ই সেই বাবর? বাবর হলেন আমাদের চট্টগ্রামের একজন সময়ের রাজনীতির অঙনের সাহসী পুরুষ। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ভুমিকা পালনসহ জামায়াতের বিরুদ্ধে ও বি এন পি সরকারের অন্যায় অত্যাচারে শিকারে নির্যাতিত হয়েছেন অসংখ্যবার তিনি ২৭ বার জেলে ছিলেন,তিনি নন্দনকানন হত শুরু করে ওমর গনি এম এস কলেজ এর ছাত্র লীগের দায়িত্ব পালনসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ -অর্থ সম্পাদক ছিলেন, তিনি আগামীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাত ধরে এগিয়ে যাবেন, তাঁর
রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এর পরিচয় দিয়ে শেষ করা যাবেনা।আমি তাঁর সফলতা কামনা করছি।
লেখক: সাংবাদিক উপস্থাপক ও গবেষক এবং সংগঠক।