
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হাইকুল ইসলাম ফার্মেন্সিটি অপারেটর মনোদীপ গাইন সহ ৬ স্বাস্থ্য কর্মি ইতি মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর তারই প্রভাব পড়েছে হাসপাতালে। ৩০ জুন সকাল ৮.৫৫ মিঃ হাসপাতালে যেয়ে দেখা যায় প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। পাশে দাড়িয়ে আছে ৬০ বছল বয়ষ্ক মইনুদ্দীন নামের এক ইজিবাইক চালক। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে কেন ? তিনি এই প্রতিবেদককে জানান তিনি সব সময় এই হাসপাতালের রোগি ও তার স্বজনদের ভাড়ায় আনা নেওয়ার কাজে হাসপাতাল গেটে থাকেন। গত কয়েকদিন হাসপাতালে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ রোগিরা যেমন ভর্তি হচ্ছে না তেমনি হাসপাতালের ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মিরা কর্মস্থলে আসতে অনিহা প্রকাশ করেছে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২৫ শয্যা বিশিষ্ট থাকলেও ডাঃ আফম রুহুল হক স্বাস্থ্য মন্ত্রী থাকাকালীন এটি ৫০ শয্যায় রুপান্ত্রিত করা হয়। কিন্তু অন্যান্য সময় দেখা যায় ১০০ থেকে ১২৫ জন রোগি পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ৩০শে জুন সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় মাত্র ১২ জন রোগি কাগজ পত্রে ভর্তি আছে।দেখা মেলেনি কোন ডাক্তারের। দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকজন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী।
এ ব্যপারে কথা হয়মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুকের সাথে তিনি জানান মহামারী করোনাকে উপেক্ষ করে তিনি নিয়মিত হাসপাতালে দৈনন্দিন রোগি দেখাসহ যাবতীয কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রোগি সংকট ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা প.প. কর্মর্কতা মিঃ অজয় কুমার সাহা জানান ৯.৩০ মিনিটে প্রধান ফটক টি খোলা হয়। অন্য সময় বিপরীত দিক দিয়ে খোলা থাকে। আর হাসপাতালে ডাঃ হাইকুল ইসলাম সহ ৬ স্বাস্থ্য কর্মি করোনা আক্রান্তের কারনে সাধারণ রোগিরা ভর্তি হতে একটু অনিহা প্রকাশ করছে। তবে কেহ ভর্তি হতে চাইলে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।