নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা থেকে আশাশুনিতে পালিয়ে আসা করোনা আক্রান্ত গার্মেন্টস কর্মী নিলুফা ইয়াসমিন উদ্ধার ঘটনায় আশাশুনিতে ৪ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি আফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, বুধহাটা বেউলা গ্রামের জামাল মোড়লের কন্যা গার্মেন্টস কর্মী নিলুফা ইয়াসমিন নামক করোনা রুগীকে উদ্ধার পূর্বক সুচিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ৪ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধহাটা ইউনয়নে একটি ও কুল্যা ইউনিয়নের তিনটি বাড়ি রয়েছে। গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে| পুলিশ টহল দেবে। ঐ সকল বাড়ির সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোজখবর রাখার জন্য ও প্রয়োজনীয় খাবার এর ব্যবস্থা করার জন্য স্বংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে তাদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা হবে এবং করোনা টেস্টের জন্য নমুণা সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা প্রশাসন হতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিলুফার ইয়াসমিন (২৫) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের জামাল মোড়লের মেয়ে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল নিলুফা। সেখান থেকে কৌশলে তার স্বামী সোহেল রানাকে সাথে নিয়ে আশাশুনিতে তার বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে থানা পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয়রা হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে তাকে। এ সময় নিলুফা সেখান থেকে কুল্যা ইউনিয়নের সাঈদ ঢালীর বাড়িতে যেয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে সেখান থেকেও পালিয়ে একই ইউনিয়নের মহাজনপুর বিলের ভিতরে একটি ঘেরের বাসায় গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। বহু খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।