সচ্চিদানন্দদেসদয়: করোনা ভাউরাসের কারনে দেশজুড়ে অঘোষিত লকডাউনের ফলে অনেকে ইতোমধ্যে পেশা বদল করে ফেলেছেন। অবস্থার চাপে পড়ে শুধুমাত্র পেটের দায়ে পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। আশাশুনির বুধহাটা বাজারের বড় একটি কাপড়ের দোকানে দৈনিক বেতনে কাজ করতেন মামুন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক অনাটনে পড়েন তিনি। উপায়ান্তুর না দেখে মালিকের দোকানের সামনে একটা চৌকি পেতে কাপড়ের বিভিন্ন ধরনের মাস্ক বিক্রি করছেন।
বহু বছর ধরে আশাশুনির লোকনাথ বস্ত্রালয়ে সুনামের সাথে দৈনিক মুজরির ভিত্তিতে সেলসম্যানের কাজ করতেন। ভালভাবেই সংসার চলে যাচ্ছিল। একটি মহামারীর কারনে সব কিছু যে ওলট পালট হয়ে যাবে কোন দিন ভাবেননি । করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দেশে এখন অঘোষিত লকডাউন চালু হওয়ার জন্য বেশির ভাগ লোকই এখন রাস্তায় দরকার ছাড়া বেরচ্ছেন না । তাই সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে মামুনের মতো অনেকেরই। তাই বন্ধ দোকানের বারন্ধায় বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের মাস্ক বিক্রি করছেন বাধ্য হয়েই।
করোনা ভাইরাসের আক্রমনের আগে আশাশুনির প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা বাজারে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জনসাধারনের পদচারনায় বাজারটি জমজমাট থাকত। অঘোষিত লকডাউনের ফলে এখন বুধহাটা বাজারের লোকসমাগম তেমন নেই। নেই মোটর সাইকেল হাকিয়ে অথবা ইজি বাইক, ভ্যাান, রিক্সা করে লোকজন আসার-যাওয়ার। আশপাশে যে কয়টা এনজিও অফিস রয়েছে সেখানেও কর্মচারীদের আনাগোনা নেই। ব্যাংক খোলা থাকলেও লোকজন কাজ মিটিয়ে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানের এখন কার্যত মাছি তাড়ানোর অবস্থা।
ব্যবসায়ী মামুন বলেন, “এখন বেতন প্রায় নেই। সংসার তো চালাতে হবে। তাই এখন মাস্ক বিক্রি করছি। কোনভাবে সংসার তো চালাতে হবে।” এটাও তো একটা কাজ। দিনভর মাস্ক বিক্রয় করে যে আয় হচ্ছে তা দিয়েই েেকানমতে সংসার চালাচ্ছে মামুন। এতে বাড়ির লোকেদের মুখেও হাসি ফুটিয়ে তুলেছে সে। মামুনের এই পেশা বদলকে অনেকে অভিবাদন জানিয়েছেন।