
আকরামুল ইসলাম: ভারতীয় তিন বাসিন্দা এসে আটকে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়। ভারত সরকার লকডাউন ঘোষনা ও ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ঘোষনা করায় দেশে ফিরতে পারেনি এসব ভারতীয় নাগরিক। সদর উপজেলায় অবস্থান করছেন দূর সম্পর্কের অস্বচ্ছল আত্নীয়ের বাড়িতে।
বাড়িতে খাবার ফুরিয়ে গেছে সেই আত্নীয়দেরও। উপায়ান্তু না পেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করেন অসহায় হয়ে পড়া এসব ভারতীয় নাগরিকরা। ফোন পেয়েই বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এসব নাগরিকদের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন তারা অবস্থান করা বাড়িতে এ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন জানান, পড়া এসব ভারতীয় নাগরিকরা ভারতের কলকাতার আটকারিয়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তারা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। গত ১৫ মার্চ এসব নাগরিকরা ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসপি স্যারের নির্দেশনায় তাদের জন্য খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারত সরকার দেশে প্রবেশ বন্ধ ঘোষনা করায় এসব নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারেননি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক অস্বচ্ছল দুস্পর্কের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। যে কোন ভাবে তারা আমার ফোন নম্বরটি জোগাড় করে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানান। বলেন, বাড়িতে খাবার নেই। এটা জেনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় ওই তিন নাগরিকদের জন্য ১৫-২০ দিনের খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে পুলিশ। পরিস্থিতির স্বীকারে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের পাশে সকলকে মানবিক হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও প্রকৃত অসহায়দের মাঝে রাতের আধারে আবার দিনের আলোতেও খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে জেলা পুলিশ।