নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণের অবহেলিত জেলা ছিলো সাতক্ষীরা। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ অবহেলিত অঞ্চলে ক্রমেই নগরায়ন সহ নানা সুযোগ সুবিধা যুক্ত হতে থাকে। উন্নয়নের হাওয়া পৌছে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। গ্রামের রাস্তাগুলো ইটের সলিংয়ের পরিবর্তে এখন পিচঢালা পথ। কাদায় মাখামাখি করতে হয়না। যাতায়ত ব্যবস্থা হয়েছে বহুগুনে উন্নত। যার অবদানে পেছনের কারিগর হিসেবে ভ‚মিকা রেখেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গুছিয়ে উঠতে বেশ কিছু সময় চলে যায়। তারপর দেশে বইতে শুরু করে উন্নয়নের হাওয়া। ২০১৪ নির্বাচনের পর থেকে এ জেলা ক্রমেই এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় হয়েছে পদ্মা সেতু। যার উপকারভোগী সর্বদক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা। জেলা সদরে উন্নয়ন হয়েছে সব চাইতে বেশি। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা বুঝে নেওয়ার জন্য নিবেদিত প্রান একজন জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন সবচাইতে বেশি। এই নিবেদিত প্রান জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ছিলেন বলেই সাতক্ষীরা সদরের এত উন্নয়ন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের কাজগুলো করে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বা এলজিইডি। সাংসদীয় আসন ১০৬ বা সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আন্তরিকতায় গত ১০ বছরের ২ মেয়াদে সদরের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। সাতক্ষীরা সদরে বিগত ৫ বছরে উন্নয়ন হয়েছে আগের ১০ বছরের থেকে বেশি।
সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ২ মেয়াদে এলজিইডির সাতক্ষীরা সদরের ১৩টি প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে পল্লী সড়ক উন্নয়নের আওতায় মোট ১৭৩ কিঃমিঃ নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে যার মধ্যে চলতি মেয়াদে হয়েছে ৬৭ কিঃমিঃ। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে ১৪৩ কিঃমিঃ যার মধ্যে চলতি মেয়াদে সংস্কার হয়েছে ৭৬ কিঃমিঃ। সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে ১৯০ মিটার যার মধ্যে চলতি মেয়াদে হয়েছে ১০০মিটার। বিগত দুই মেয়াদে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে ৮৮টি যার মধ্যে চলতি মেয়াদেই হয়েছে ৪৯টি। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ৬ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। চলতি মেয়াদেই ৪ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। বিগত দুই মেয়াদে ৮টি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা নিবাস তৈরি হয়েছে। সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কাজ হয়েছে ৪০টি যার ২১টি হয়েছে চলতি মেয়াদে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষণ কর্মসূচী-৩ ও এলসিএস মহিলা কর্মী সংখ্যা মোট ২৭৪৪জন যার মধ্যে চলতি মেয়াদেই ১১৫৮ জনকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়। এখানেই শেষ নয় আরও আছে। সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির চলতি মেয়াদেই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে ১০৬১ হেক্টর জমি। ¯øুইচ গেট হয়েছে একটি, পুকুর খনন হয়েছে ৩টি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হয়েছে ১টি, ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস নির্মান হয়েছে ২টিগ্রোথ সেন্টার, হাটবাজার হয়েছে চলতি মেয়াদে ১টি। এত উন্নয়ন অন্য কোন উপজেলাতে হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘যতটুকু পেরেছি সরকারের কাছ থেকে নিয়ে জনগনকে দিয়েছি। আমি চাই আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের আরও উন্নয়ন হোক। তাই তারা আমাকে আবারও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখবে।’