ফেরদৌস আহমেদ:
সাতক্ষীরায় ৫-৮ আগস্ট তারিখে ছাত্র মিছিলে হামলা চালানোর কথা উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের আসামি বানিয়ে সদর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। এজাহার দাখিলের পর সেই কপি নিয়ে আশাশুনির স্বঘোষিত সমন্বয়ক রিফাত সাতক্ষীরা শহরে ঘুরঘুর করছেন, হাজির হচ্ছেন আসামিদের বাড়িঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ওই মামলা থেকে সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমানের নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, বিনিময়ে দাবি করছেন দুই লাখ টাকা চাঁদা।
স্থানীয় সূত্রমতে সমন্বয়ক দাবীদার রিফাত আশাশুনি কলেজ ছাত্রদলের কর্মী এবং মাদকসেবী ।
আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিদ সোহাগ সাতনদীকে জানান, রিফাত মামলার নামে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তিনি বলেন,কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে বিএনপি বা তার কোনো অঙ্গ সংগঠন জড়িত নয়। তিনি ওই চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ্দ করার আহবান জানিয়েছেন।
তবে সাতক্ষীরা সদর থানার একজন ইন্সপেক্টর জানান, এজাহার লিখে থানায় জমা দিয়ে আবার তা সংশোধনের কথা বলে এজাহার কপিটা নিয়ে গেছে রিফাত। এখন পর্যন্ত থানায় এসে এজাহারটি জমা দেয়নি।
এবিষয়ে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন,আশাশুনির সমন্বয়ক দাবীদার রিফাত গত কয়েক দিন ধরে আমার আত্মীয়র মাধ্যমে আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে । তিনি আরো বলেন, আশাশুনির দুর্বৃত্তদের নামে গণ-চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ করায় তাদের ইন্ধনে রিফাত আমাকে মামলায় ঢুকানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন ছাত্র প্রতিনিধি এ-ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রিফাত ছাত্র আন্দোলনের সময় ছিলো কিন্তু সে সমন্বয়ক না। সে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে আসছে বলে আমরা জানতে পেরেছি । আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় জানতে পারছি তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা এবং রিফাতের এই চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলে আমরা তাকে খুঁজে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিবো। তিনি আরো বলেন,সাতক্ষীরাতে কোন সমন্বয়ক নেই কিন্তু খুব দ্রুত কমিটি দেওয়া হবে।
রিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।