অনলাইন ডেস্ক :
পঞ্চগড়ে দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি (২৫) নামে এক যুবক। পরে একসঙ্গেই দুই বউকে ঘরে তুলেছেন তিনি। আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার গ্রামে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে দুই প্রেমিকা এবং এক প্রেমিকের বিয়ের ঘটনাটি ঘটে। রোহিনী চন্দ্র বর্মণ ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। একপর্যায়ে ৪ থেকে ৫ মাস আগে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। তবে পারিবারিক কারণে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই।
এরমধ্যে নতুন করে একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার গ্রামের টোনো কিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রানীর (১৮) সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন প্রেমিক রনি। প্রেমের সূত্রে মমতা রানীর সঙ্গে ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে তাকে আটকে রেখে পরদিন বিয়ে দেন মমতার পরিবারের লোকজন।
এদিকে, রোহিনী বর্মণের বিয়ের খবর শুনে পূর্বের প্রেমিকা ইতি রানী বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে স্ত্রীর দাবি নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বুধবার রাতে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিক রনির বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় প্রেমিক চন্দ্র বর্মণ রনির সাথে কথা বলতে মোবাইলফোনে কল দিলে তিনি কথা বলতে চান না বলে জানান ও মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘দুইজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে কারো কোনো আপত্তি ছিল না। তবে আগের বিয়েগুলোর বিষয়ে যেহেতু জানা ছিল না, তাই নতুন করে আমি আবার তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি।
ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, এ নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। রনির বাড়িতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজন ছিলাম। আমাদের কারো কোনো আপত্তি নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খয়রুল ইসলাম বলেন, বিয়ের কথা শুনেছি। তবে বিয়ের বিষয় নিয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেননি। আমি এর বেশি কিছু জানি না।
বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রথম বিয়ে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। পরে আর কেউ আমার সঙ্গে কোনো যোগযোগ করেনি। তবে দুইজনকে বিয়ে করে ঘরে তোলার কথা শুনেছি। কিন্তু এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।