হাবিবুর রহমান: দীর্ঘ তিন দশকেও পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপ নেয়নি ভোমরা স্থলবন্দর। সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানী পন্যও এই বন্দর দিয়ে এপার-ওপার হয়না। দূর্বল নেতৃত্বের কারণে কাংখিত জায়গায় পৌছতে পারেনি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহদ্বার হিসেবে খ্যাত বন্দরটি। ওপারের সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির মুখে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। এমনই প্রেক্ষাপটে আজ সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের বিশেষ নির্বাচনী সাধারণ সভা।
সাধারণ সভায় দু’পক্ষ দু’রকম এজেন্ডা নিয়ে মাঠে আছেন। এক পক্ষের হিসাব, বন্দরের সাহসী নেতা এজাজ আহমেদ স্বপনকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা এবং পাতানো নির্বাচনে পাতি খরচ করে চেয়ারে বসা। এ পক্ষটি সরকার সমর্থক ব্যবসায়ীরা। অপর পক্ষটি সাধারণ সভার মাধ্যমে নির্বাচন চান। এর মধ্য দিয়ে যারাই নেতৃত্বে আসবেন তারা বন্দরের কাংখিত উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখতে পারবেন।
[caption id="attachment_48986" align="alignright" width="300"] ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন তৎকালীন আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন[/caption]
সংগঠনটির জন্ম সুদূর ১৯৯৮ সালে। সেখান থেকে আজও নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। প্রভাবশালীরা তাদের পছন্দের লোকজনকে পাতানো নির্বাচনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। সর্বশেষ কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু সভাপতি এবং মোস্তাফিজুর রহমান নাছিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় পাতানো নির্বাচনে।
এই কমিটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন। আদালত কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে খুলনার শ্রম আদালত এজাজ আহমেদ স্বপনকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করে দেন। এই এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদকের শ্রম আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ ৫ সদস্যের এডহক কমিটির ৪জন এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকে অপসারনের জন্য পরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর খুলনা বরাবর আবেদন করেন।
কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই এজাজ আহমেদ স্বপনকে সরিয়ে মিজানুর রহমানকে এডহক কমিটির আহবায়ক করা হয়।
বর্তমান আহবায়ক কমিটি অডিট করে এজাজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দাড় করিয়েছে। এই অজুহাতে এজাজ আহমেদকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজকের সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে হইচই হবে। এজাজ আহমেদ স্বপণ টিকে থাকলে অর্থাৎ ভোটার তালিকায় তার নাম থাকলে পাতানো নির্বাচন ভেস্তে যাবে। আর ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ গেলে পাতানো নির্বাচনে পাতি খরচ করে যে কেউ ক্ষমতায় বসে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
এজাজ আহমেদ স্বপন সাতনদীকে জানিয়েছেন, সংগঠনটির নেতৃত্বে থেকে তিনি বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন। জেলা পরিষদের অর্থায়নে দৈনিক ১২ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি পবে শ্রমিকরা। এমনই ভাবে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার।
বন্দরের অল আইটেম চালুর জন্য এবং পূর্নাঙ্গ স্থলবন্দরের রূপদানের জন্য অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
তিনি দাবী করেন একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে। চক্রটি সফল হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।