শেখ ইমরান হোসেন, তালা থেকে: তালা উপজেলার দক্ষিনে অবস্থিত খেশরা ইউনিয়ন। খেশরা ইউপি নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ২৩ হাজার ৬০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১৫৫ জন ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৪৪৯ জন। আওয়ামীলীগ সহ আঙ্গসংগঠনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪জন, বিএনপি থেকে এক ও সতন্ত্র একজন।
আওয়ামীলীগ থেকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান বর্তমান চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন রাজু। মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, খেশরা ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তালা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম লালটু, শ্রমিকলীগের তালা উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক আব্দুর জব্বার, বিএনপির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস এম লিয়াকত হোসেন ও তরুণ সমাজ সেবক সাংবাদিক এস.কে রায়হান।

[embed]https://youtu.be/-Klt00qC2AA[/embed]

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া । হাটে, বাজারে, চায়ের দোকানে, মাঠে-ঘাটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেই সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এলামার প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে গণসংযোগ, মটরসাইকেল শোভাযাত্র সহকারে শো-ডাউন বাড়িয়েছেন, লবিং শুরু করেছেন দলীয় মনোনয়ন প্রাত্যাশায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাই, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও ইতোমধ্যে খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সহ সকল প্রার্থীরা অগ্রিম ব্যানার ফেস্টুন ও প্যানা বোর্ড টানিয়েছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। শেখ ইমরান হোসেন
বর্তমান চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন (রাজু) বলেন, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ২০১৬ সালে সাধারণ জনগন বিপুল ভোটের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করেছে। খেশরা ইউনিয়ন একটি অবহেলিত অঞ্চল, এই ইউনিয়নের মানুষের দুঃখ দুর-দর্শার অন্ত নেই। আমি আমার সর্বত দিয়ে চেষ্টা করেছি জন-সাধারনের পাশে থাকার। চেষ্টা করে চলেছি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে। আগামী নির্বাচনে পুনরায় দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। মনোনয়ন পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, খেশরা ইউনিয়নকে মাদক, দুর্নীতি ও দারিদ্রমুক্ত ইউনিয়নে পরিণত করতে হবে। সেই লক্ষে আমি কাজ করে চলেছি। দলীও মনোনয়ন পেলে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম (লাল্টু) জানান, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বিগত দিনে আমি মেম্ভর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িক্ত পালন করেছি। জন-সাধারণ আমার পাশে রয়েছে। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল আমার উপর আস্থা রাখবে। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে খেশরা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে পরিণত করবো।
তালা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল জব্বার জানান, ৭১’র মুক্তিযোদ্ধার অধিকাশন্ন বাড়ি খেশরা ইউনিয়নে। তবে ইউনিয়নটি অবহেলিত। এই অবহেলিত ইউনিয়নের জন-সাধারনের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। যাহাতে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর করতে পারি। দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেলে আমি নির্বাচন করবো।
বিএনপির থেকে সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস এম লিয়াকত হোসেন জানান, আমি সাবেক চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় আমার চাকুরি প্রায় শেষ। জনগন আমার পাশে আশে রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ আমি নির্বাচিত হব।
তরুণ সমাজ সেবক এস.কে রায়হান জানান, খেশরা ইউনিয়ন তালা উপজেলা সর্ব দক্ষিনে অবহেলিত একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, হতদারিদ্র মানুষের আন্তসামাজিক উন্নয়ন সহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমি নির্বাচন করতে চাই।
তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলেই তালা উপজেলার সকল ইউপি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।