মাসুদুর রহমান মাসুদ:
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ফাহেরেনগোল্টজ বলেছেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগনের ঘুরে দাড়ানোর জন্যে ৩০০ ইউরো প্রদান করেছে জার্মান সরকার। সাতক্ষীরার উপক‚লীয় অঞ্চলগুলো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ সকল এলাকার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খুলনা বিভাগের উপক‚লীয় অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মজবুতকরণের লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মাড়িয়ালা বাজার মোড়ে জার্মান অ্যাম্বেসীর পক্ষ থেকে আম্ফান ও করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রদানকালে উপরোক্ত কথা পলেন তিনি। এ দিন তিনি ঐ এলাকার ২৫শ’ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাউল, ১ কেজি ডাউল, সাবান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরনের শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন- সাতক্ষীরার উপক‚লীয় এলাকায় বাড়তি সহায়তা হিসেবে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। ইতোমধ্যে আশাশুনি, শ্যামনগর ও দেবহাটা উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার আশাশুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ২ শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধন শেষে জার্মান এ্যাম্বাসির এ্যাম্বাসিডর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও মাড়িয়ালা হাইস্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থানরত বানভাসী মানুষের খোঁজ খবর নেন। জরুরী ত্রান সহায়তা বিতরণ ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে জার্মানি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ভ্যান মিট ল্যাভ,এনএসআই’র ডিডি জাকির হুসাইন,
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) আলহাজ্ব শেখ ইয়াছিন আলী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা, থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ও শেখ জাকির হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুনির হোসেন সহ বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবগ উপস্থিত ছিলেন।