
বিশেষ প্রতিবেদক: উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চেপে পড়ায় ভোমরা স্থলবন্দরে আটটি আমদানি জাত ভারতীয় ফলের ট্রাক আটকা পড়েছে। প্রায় ২ কোটি টাকা মুল্যের মালবাহী ট্রাকগুলো বন্দরের ইয়ার্ডে ৬ দিন ধরে আটকে থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যেই এসব ফলে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, বকেয়া শুল্ক আদায়ের জন্য ২৫ টি আমদানিকারকের লাইসেন্সের সাময়িক বিণ লক করা হয়েছে। বকেয়া শুল্ক আদায় সাপেক্ষে এসব লাইসেন্স এর লক খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বগুড়াস্থ আর কে পি ট্রেডিং ও ফ্রেশ ফুড ইন্টারন্যাশনাল গত শনিবার ভোমরা বন্দর দিয়ে আট ট্রাক ভারতীয় আনার ও টমেটো আমদানি করে। উল্লেখিত আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট পণ্যের আমদানি পণ্যের শুল্কায়নের জন্য ভোমরা কাস্টমস স্টেশনে বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করে। এর পরপরই খবর আসে বেনাপলে পঁচিশটি আমদানিকারকের লাইসেন্সের বিণ লক করা হয়েছে। ফলে ভোমরা বন্দরে আমদানি জাত ৮ ট্রাক ভারতীয় ফলের কাস্টমস শুল্কায়ন করা সম্ভব হয় না। আমদানিকারক আর কে পি ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার নুর ইসলাম জানিয়েছেন, বেনাপোল বন্দরে তার প্রতিষ্ঠানে কোন শুল্ক বকেয়া নেই। অহেতুক লাইসেন্সের বিন লক করাই তিনি আর্থিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অপর আমদানিকারক ফ্রেশ ফুড ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রতিনিধি মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের কাছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কোন শুল্ক বকেয়া নেই। বেনাপোল কাস্টমসে লাইসেন্সের বিণ লক করায় ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় ফলের শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য খালাস করাতে পারছেন না।
ভোমরা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমির মাহমুদ জানিয়েছেন, আমদানিকারকের লাইসেন্সের বিন লক থাকায় তিনি শুল্ক আদায় করে আমদানি জাত পণ্য খালাসে অনুমতি দিতে পারছেন না।