নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যের কাছে পাওনা টাকা আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে সাতক্ষীরা হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মুকুল। মুকুলের কথিত লেনদেনের বিষয়ে না জানলেও মোস্তাফিজুর নামের এক ব্যক্তিকে নিয়মিত টাকা চেয়ে হয়রানি করছে সে। আর টাকা আদায় করতে কোন সময় মটরসাইকেল আটকিয়ে বা কোন সময় তার আত্মীয়পরিজনের কাছে কাউন্টারে কর্মরত কুলিদের সাথে নিয়ে হামলে পড়ছে। চেষ্টা করছে মোস্তাফিজুরের মানহানির ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের। এভাবেই সে সম্ভ্রান্ত পরিবার টার্গেট করে টাকা আদায় করে থাকে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘দেড় দুই বছর আগে মোয়াজ্জেম নামক জনৈক ব্যক্তির সাথে আমি হানিফ কাউন্টারে যাই। হানিফ সাতক্ষীরা কাউন্টারের ম্যানেজার মুকুলের সাথে মোয়াজ্জেম কোন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলে। তাদের সাথে মধ্যকার কথোপকথনের সময় আমি বাইরে দাড়িয়ে থাকতাম। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগতও নই। সদ্য পালিত হওয়া ঈদুল আযহার সময় হঠাৎ আমি আমার নিজের নামে রেজিঃকৃত মটরসাইকেলটি সার্ভিসিং করানোর সময় হানিফের কাউন্টার ম্যানেজার মুকুলসহ আরও কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আমার কাছে টাকা চায়। আমি টাকা চাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে মোয়াজ্জেমের কাছে মুকুল টাকা পায় সেই টাকা আমাকে দিতে হবে। এসময় আমি বলি তোমাদের মধ্যকার লেনদেন সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তাহলে টাকা আমি দিব কেন? কিন্তু মুকুল তা মানতে নারাজ। এসময় মুকুল তার কাউন্টারে কর্মরত কিছু কুলিকে ডেকে নিয়ে আমার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে চায়। পরে মটরসাইকেলের শো-রুমের লোকজন ও কয়েকজন পথচারীরর সহায়তায় আমি আমার নিজ নামের ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি রক্ষা করি। সে সময় আমার শ্বশুর আমার সাথে ছিল। মাসখানেক আগে মুকুল আবারও আমার শ্বশুরের সাইকেলের শো-রুমে গিয়ে টাকা চায়। আমার শ্বশুর তখন মুকুলকে সাফ জানিয়ে দেন যে কথিত লেনদেনের বিষয়ে মোস্তাফিজুর জানেনা। তাই মোস্তাফিজুর টাকা দিবেনা। তারা জোর করলে আমার শ্বশুর আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানালে মুকুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা চলে যায়। হঠাৎ গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় মুকুল তার লোকজন নিয়ে আবারও আমার শ্বশুরের দোকানে যায়। তখন যথারীতি আবারও সে টাকা চায়। তখন আমার শ্বশুর মুকুলকে বলে যে টাকা অন্যের কাছে সে পাবে সে টাকা মোস্তাফিজুর কেন তোমাকে দিবে? এ কথার উত্তরে মুকুল শাঁসিয়ে বলে মোস্তাফিজুরের কাছ থেকে টাকা আমি আদায় করে নিব। এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ভাই পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসে। মুকুলের এধরনের অত্যাচারে আমি তটস্থ।’
মোস্তাফিজুর এই চাঁদাবাজের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।