
স্পোর্টস ডেস্ক:
হেরে আগের দিন ব্যাটিংয়ে নামা দলটা আটকা পড়েছিল বৃষ্টির কারণে। কিন্তু, স্বাগতিকদের বাঁচিয়ে দেয় তাদের ব্যাটাররা। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনেও শ্রীলঙ্কার বোলারদের চড়ে বসতে দেননি তারা। দুই উইকেট হারালেও, সাবলীল ভাবেই দিন শেষ করে আসেন কেইন উইলিয়ামসন এবং হ্যানরি নিকোলস।
বেসিন রিজার্ভে দ্বিতীয় দিনের সকালটা ছিল একটু আলাদা। সচরাচর যে বাতাস সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ব্যাটারদের জন্য, সেটাই যেন আশীর্বাদ হয়ে এলো স্বাগতিকদের কাছে। বাতাসের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বল পিচ করাতে ঘাম ছুটে যায় লঙ্কানদের। সেই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগান উইলিয়ামসন-নিকোলস জুটি।
প্রথম সেশনে তারা পাত্তাই দেননি শ্রীলঙ্কান বোলারদের। পেসার কিংবা স্পিনার কেউই প্রভাব রাখতে পারেনি ওয়েলিংটনে। ৩৪ ওভারে কিউইদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৪৯ রান। এর মাঝেই ২৮তম সেঞ্চুরির সঙ্গে ক্যারিয়ারের ৮ হাজার রান পুর্ণ করেন উইলিয়ামসন। মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে রানের গতি আরও বাড়ে ব্ল্যাকক্যাপদের। এ সেশনে সেঞ্চুরি পেয়ে যান নিকোলস। এরপর অনেকখানি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি। ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে পাঁচ গড়ে রান আসতে থাকে নিউজিল্যান্ডের ঘরে।
এরপর দিনের শেষ ভাগে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন দুই কিউই ব্যাটার তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। জোড়া ডাবলের আনন্দে ভাসে নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ডাবল পূরণ করেন কেইন উইলিয়ামসন। পরে, ২১৫ রানে বিদায় নেন তিনি। তার আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে ভাঙে ৩৬৩ রানের জুটি।
সঙ্গী হারালেও মাইলফলক ছুঁতে ভুলেননি নিকোলস। ২৪০তম বলে নিজের ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। এক ইনিংসে দুইজন ডাবল সেঞ্চুরি করার ১৭ তম ঘটনা এটি। পরে, ৫৮০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন টিম সাউদি। ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন হ্যানরি নিকোলস।
এরপর ব্যাট করতে নেমে রান পাহাড়ের চাপ নিতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। শুরুতেই ভুল করে বসেন ওশাদা ফার্নান্ডো। ব্যক্তিগত ৬ রানে দলকে বিপদে রেখে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। টিকতে পারেননি কুশল মেন্ডিসও। ফিরেছেন ১০ বলে শুন্য করে।
তবে, বিপদ আর বাড়তে দেননি দিমুথ করুনারত্নে। নাইটওয়াচ ম্যান প্রবাথ জয়সুরিয়াকে নিয়ে দিন শেষ করেন লঙ্কান অধিনায়ক।