
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনি বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের স্কুলছাত্রীদের ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনা একটি ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অপরাধ। খামেনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের বিষক্রিয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা। এটি একটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’
শুক্রবার নতুন করে বিষাক্ত গ্যাস হামলায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইরানের পাঁচটি প্রদেশের ৩০টি বেশি স্কুলের কয়েক ডজন স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তৃপক্ষ ঘটনার সঠিক কারণ জানায়নি। তারা জানায়, ইরানকে দোষারোপ করার জন্য শত্রুরা এমনটি করছে।
এর আগে গত ১ মার্চ মেয়েদের অন্তত ১০টি স্কুলে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। দেশটির গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার ইরানের পশ্চিম হামেদান প্রদেশের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমের জাঞ্জান ও পশ্চিম আজারবাইজান, দক্ষিণের ফারস এবং উত্তরের আলবোর্জ প্রদেশে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েক ডজন ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার দিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, তিনি গোয়েন্দামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষ প্রয়োগের ঘটনার দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রীদের ওপর গ্যাস হামলার ঘটনাকে ‘জনসাধারণের মাঝে ভীতি ও হতাশা তৈরি করার জন্য শত্রুদের ষড়যন্ত্র’ হিসাবে অভিহিত করেন তিনি।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, বিষ প্রয়োগের তদন্ত সরকারের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের উদ্বেগ দূর এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কাজ চলছে। সূত্র: আল আরাবিয়া