
সরদার আবু সাঈদ: আধা কিলোমিটার রাস্তাটি ভাঙ্গাচোরা আছে দীর্ঘ সাত বছর। এখন ইটের সলিং উঠে খানাখন্দে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে একটি গ্রামের প্রায় দেড়শত পরিবারের চারশত মানুষ। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পরানদহা গ্রামের একটি ইটের রাস্তার দশা এটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরানদহা পশ্চিমপাড়ার মনির দোকান থেকে কালিতলা বাজার পযর্ন্ত আধা কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তায় ইটের সলিং উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এখন আর রাস্তার কোথাও কোথাও ইট নেই। অনেক স্থান থেকে ধসে গেছে রাস্থা । আবার কোথাও হয়েছে বড় বড় গর্ত। এর মধ্যে গ্রামের ওপর দিয়ে যাওয়া রাস্তাটির দুই পাশের পানি নিশস্কাসনের জন্য পযাপ্ত ব্যাবস্থা না থাকায় পাশ ভেঙে ইট সরে গেছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি প্রায় ১৫বছর আগে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মুজিবার রহমান এর সময় ইটের সলিং করা হয়। এরপর ১৫বছর পার হয়ে গেলেও রাস্তার উন্নয়নে আর কোনো কাজ হয়নি। রাস্তাটি দিয়ে পরানদহা গ্রামের প্রায় দেড়শত পরিবারের মানুষ যাতায়াত করে।
পরানদহা গ্রামের মহসিন আহম্মেদ বলেন, ১০বছরেও সরকারি কোনো লোকজন ভাঙা রাস্তাটি দেখতেও আসেনি। পুরো রাস্তায় কোথাও ভালো খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাস্তা ভেঙে খানাখন্দে ভরে গেছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। হেটে ও রাস্তাটি দিয়ে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। এতে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।’
ওয়ার্ড আয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা ভেঙে এমন অবস্থা হইছে, মানুষই চলতে পারে না, গাড়ি চলবে কেমনে? রাস্তার কোথাও ভালো নাই। আবার কোথাও বড় বড় গর্ত।’
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, এই গ্রামটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। রাস্তাটি নিয়ে বড় বেকায়দায় রয়েছি। রাস্তাটি দিয়ে বাই সাইকেল চালিয়েও যাওয়া যায় না। রাস্তাটি মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ সকলের পিছনে ঘুরেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ফলে দুর্ভোগে আছে গ্রামের প্রায় ৫শত মানুষ। নতুন রাস্তা না হোক ইট তুলে দেন কাঁচা রাস্থা থাকলেও তো চলতে পারবো। এ বিষয়ে জানতে পরানদহা ইউপি সদস্য মোঃ আজহারুলের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।