আব্দুর রশিদ: শহরের ইটাগাছা আবাসিক এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে আনারুল ইসলাম এতিম নামের একজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীকে বিয়ে না করে স্ত্রী পরিচয়ে একসাথে থাকছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় খদ্দের নিয়ে এসে দেহব্যবসা পরিচালনা হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
সাতনং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম জানান, আনারুল ইসলাম এতিম ও ওই নারী এই এলাকায় ভাড়া থাকে। এলাকাবাসী তাদের আটকে আমাকে জানায় আমি যেয়ে ওই নারীর কাছে জানতে পারি তারা স্বামী-স্ত্রী। মেয়েটি সনাতন ধর্মাবলম্বী। কিন্তু ধর্মান্তরিত হওয়ার বা বিবাহের কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ তারা অবৈধ ভাবে এক সাথে থাকে সমাজকে নষ্ট করছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
স্থানীয়দের মধ্যে আসাদুজ্জামান লাভলু জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কানাঘুঁষা শুনি যে আনারুল ইসলাম এতিম একজন নারীকে নিয়ে অবৈধ ভাবে একটি ভাড়া বাসায় থাকে। আমরা এলাকাবাসীরা মিলে তাদের কাছে গিয়ে বিয়ের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাই। তারা পরের দিন দেখাবে বলে। কিন্তু এখনো আমাদের কাউকে সেটি দেখাতে পারেনি।
সুব্রত বিশ্বাস বলেন, আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিহারির বাড়ি বকুলের ঘরে একব্যক্তি মহিলা নিয়ে ভাড়া থাকে। তার নাম আনারুল ইসলাম এতিম। এসময় ওই নারী ও এতিম পরষ্পর স্বামী স্ত্রী দাবী করে। তাদের দাবীর মুখে আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি।
তবে এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম এতিমের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও ওই নারী দাবী করেন তিনি সনাতন ধর্মাবল্বী ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে আনারুল ইসলাম এতিমের সাথে বিবাহ করেছেন। তার কাছে ধর্মান্তরের বা বিয়ের বৈধ কোন কাগপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তবে এসব বিষয়ে বক্তব্য দেয়ায় রেজাউল ইসলাম, লাভলু ও সুব্রত বিশ্বাসের উপর অব্যহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আনারুল ইসলাম এতিম। স্থানীয়দের দাবী সামাজিক অবক্ষয় রুখতে এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।