আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শুকিয়ে যাচ্ছে খাল, কমে আসছে নদীর পানিস্তর আর সংকুচিত হচ্ছে হ্রদ। এ অবস্থা দেখা যাচ্ছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশেই। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবারও ভয়াবহ খরার কবলে পড়তে যাচ্ছে মহাদেশটি- বলে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করলেন তারা।
কোথাও শুকিয়ে গেছে নদীর পানি, কোথাও আবার প্রচণ্ড দাবদাহে দেখা দিয়েছে খরা।গত কয়েক সপ্তাহে তীব্র তাপদাহে ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকা।
ইতালিতে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে সংকটজনক পরিস্থিতি। শুকিয়ে যেতে বসেছে দেশটির ভেনিসের ক্যানেলগুলো। কয়েক সপ্তাহের শুষ্ক শীতের আবহাওয়া ও আল্পস পর্বতমালায় স্বাভাবিকের অর্ধেকেরও কম তুষারপাতের পরে উদ্বেগ বেড়েছে। বৃষ্টির অভাব, বায়ুমণ্ডলীয় চাপসহ বেশ কিছু কারণকে দায়ী করা হয়েছে ভেনিসের সমস্যার জন্য।
ফ্রান্সে নেমে আসছে নদীর পানিস্তর। কমে আসছে মাটির আদ্রতা। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ফসল উৎপাদনে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষাবাদে। আবহাওয়াবিদেরা জানান, ২১ জানুয়ারি থেকে এক মাসে বৃষ্টি হয়নি দেশটিতে। নদীর পানিস্তর কমার বৃষ্টি না হওয়াকেই দায়ী করেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, ১৯৫৯ সালের পরে এতো শুষ্ক শীতকাল দেখা গেলো।
কম বৃষ্টিপাত ও ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জন্য স্পেনের দেখা দিয়েছে খরা। ১৯৮০ সালের পর প্রাকৃতিক পানি কমেছে ১২ শতাংশ, ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ তা ৪০ শতাংশ কমে আসবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে ভয়াবহ খরার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করে রাখছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।
গত কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়ার বিরূপ পরিবর্তন। অসময়ে বৃষ্টি, ভয়াবহ দাবদাহ- প্রতিনিয়তই ভাবিয়ে তুলছে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে বন্যা-ভূমিধস-ঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
২০২২ সালে ভয়াবহ খরার কবলে পড়ে ইউরোপ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এবারও তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।