
আহাদুর রহমান (জনি): একত্রিশ বছর ধরে জড়িত আছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে। ২০১৩ তে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। একবিংশ শতাব্দির ১৬ সাল থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে আসীন আছেন। সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠ বন্টন করে কারও কারও বিরাগভাজন হলেও জয় করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের মন। বলছি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কুমিরা ইউনিয়নের নৌকার মাঝি শেখ আজিজুল ইসলামের কথা।
দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে জনগনের পাশে থেকেছেন ছায়ারমত। গতবারও ছিলেন নৌকার প্রার্থী। দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই নিজের ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে মনোনিবেশ করেন ইউনিয়নের মানুষের সেবায়। গত ঈদেও বৃষ্টিতে ভিজে নিজে দাড়িয়ে থেকে সরকারি অপ্রতুল বরাদ্দ ভাতাভোগীদের মাঝে বিতরন করেছেন। কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি বা অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি। ফলে মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন। দল থেকে তাই পেয়েছেন স্বীকৃতি। আবার পেয়েছেন নৌকা। অবশ্য একটি চক্র বার বার তার পথেকে কন্টকাবৃত করতে চেয়েছে। পারেনি তার সততা ও নিষ্ঠার কাছে।
প্রতিবেদকের সাথে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিষয়। তিনি জানান আমার ইউনিয়নে ৪৩টি ঈদগাহ সংষ্কার ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য পর্যাপ্ত অনুদান দিয়েছি। এলকার সকল মন্দিরগুলোতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমার ইউনিয়নে মোট ১৫০০টি বিভিন্ন ভাতার কার্ড বিতরন করা হয়েছে। যা আমি নিজে তদারকি করে পৌছে দিয়েছি। কেউ বলতে পারবেনা একটি টাকাও আমি সুবিধা বা উৎকোচ গ্রহণ করেছি। একটি চক্র আমার নৌকার মনোনয়ন আটকানোর জন্য ও আওয়ামী লীগকে হারানোর জন্য চক্রান্তে নেমেছে। এলাকার জনগন আমাকে ভালবাসে। তাদেরকে সাথে নিয়ে আমি চক্রান্তকারীদের প্রতিরোধ করবো।
এক প্রশ্নের জবাববে মি. আজিজুল সাতনদীকে জানান, আমার এলাকার ২২টি রাস্তার ৩২ কি.মি. পাকা করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামীতে জয়ী হয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করবো। আমার এলাকার কেউ কোনদিন বলতে পরবেনা আমি তাদের পাশে ছিলামনা। অনেকেই চেয়ারম্যান হয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের সেবা করছি। মানুষের সেবা করতে আমার ভাল লাগে। ইউনিয়নবাসী আমার থেকে বিমুখ নয়। তারা সব সময় সঠিক সেবা পেয়ে আসছে। আশাকরি আসন্ন নির্বাচনে তারা আমাকে নির্বাচিত করে তার যোগ্য প্রতিদান দিবে।